আমি এতিমের টাকা মেরে খাইনি : খালেদা জিয়া
অনলাইনডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
জিয়া আরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করলে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে থাকবে ২০ দলীয় জোট। জোটের বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি এতিমের টাকা মেরে খাইনি। আগেও আমি জেল খেটেছি সমস্যা নেই। তবে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় কাজ করবেন।
রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়াকে এমনি আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে থাকা একাধিক জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য জানা গেছে। তারা বলেন, জোট নেত্রী বলেছেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে। মামলার রায় নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জোটের নেতারাও বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না তারা। যে কোন ধরনের আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুত তারা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে থাকা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছি এবং আশ্বস্থ করেছি যে, সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী থাকবে এবং তাকে ছাড়া নির্বাচনেও যাবো না আমরা। রায় নিয়ে বিএনপির কর্মসূচিতেও থাকবে জামায়াতে ইসলাম।
বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি বলেন, রায়ের বিষয়ে কথা হয়েছে। বেগম জিয়া আমাদের সকল দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। রায় নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নয়। আমরাও বলেছি যে কোন বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ২০ দল তার সাথে আছি। তাকে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাবো না।
নেজামে ইসলাম পার্টির ২০ দলীয় জোটে যোগদানের বিরোধিতা করেন খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মো. ইসহাক। তিনি মুফতি ইজহারের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এজেন্ডা হিসেবে নেজামে ইসলাম পার্টির জোটে যোগদানের বিষয়টি উত্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরোধিতা করেন ইসহাক। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বৈঠকে বলেন, ম্যাডাম জোটে কাকে নেবেন বা নেবেন না এটা আপনার ব্যাপার। তবে নেজামে ইসলাম পার্টির অনেক সমস্যা রয়েছে।
এসময় মাওলানা ইসহাকের সঙ্গে সঙ্গে জমিয়তে উলামার প্রতিনিধি মাওলানা মহিউদ্দীনও মুফতি ইজহারের জোটে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
এর আগে রাত সোয়া ৯টা গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকটি শেষ হয় পৌঁনে ১১টায়।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, বিজেপি‘র আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি(জাগপা)অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খন্দকার গোলাম মূর্তজা)(এনডিপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির(এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগ(ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি।