এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের পথে সুবীর নন্দী
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মঙ্গলবার সকাল দশটা ৪০ মিনিটের দিকে সুবীর নন্দীকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়ে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, সকাল দশটা চল্লিশে সুবীর নন্দীকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়ে। এসময় সুবীর নন্দীর সাথে গেছেন তার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী। দুপুর আড়াইটা নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর কথা।
এরআগে সোমবার রাত আটটার দিকে সুবীর নন্দীকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিংগাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি এসে ঢাকার হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রা স্থগিত করা হয়। সোমবার রাতে এমনটা জানিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, সোমবার রাত আটটার মধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। দশটার মধ্যে সবাই বিমানবন্দরে উপস্থিত হলেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর জানানো হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যান্ত্রিক ত্রুটি মুক্ত করার পর কালক্ষেপন না করেই মঙ্গলবার সকালেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হলো সুবীর নন্দীকে।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে একটি অনুষ্ঠান ছিল। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তারা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ভাগ্যক্রমে সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তার পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে তাঁরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১১টার দিকে তাঁকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।