কলেজছাত্র রাজীবের হাত হারানোর ঘটনায় দুই চালক গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের চাপে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর ঘটনায় দুই চালককে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার এই্ দুই চালককে আদালতে হাজির করা হবে। জানালেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ।
আজ (বুধবার) তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তাদের আদালতে হাজির করা হবে কাল (বৃহস্পতিবার)।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরের দিক থেকে ফার্মগেটমুখী বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। হাতটি বেরিয়েছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিক গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। চিকিৎসকরা জানান, বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়, তার অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, আজ (বুধবার) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় ওই দুই বাস মালিককে (বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন) বহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাত হারানো রাজীবকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন।
রুলে সাধারণের চলাচলে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকরে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।