স্ত্রীর মুণ্ডচ্ছে এ আজীবন কারাবাস স্বামীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বয়সে বছর তিনেকের ছোট। অল্পবয়সি পড়শি যুবকের সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী। স্বামীর চোখে ধুলো দিয়েই চলছিল সম্পর্ক। বাড়ির চৌহদ্দি ছেড়ে গোয়ালেই বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয় মহিলা। কিন্তু বিধি বাম। হাতেনাতে ধরে ফেলে স্বামী।
স্ত্রী জ্যোৎস্নার সঙ্গে সুখের সংসার ছিল। কিন্তু প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ প্রেমই ধংস্ব করে দেয় সুখের সংসার। পথিক ঢাং নামে ওই যুবক বয়সে জ্যোৎস্নার থেকে বছর তিনেকের ছোট ছিল। কিন্তু বয়স সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। স্বামীকে অন্ধকারে রেখেই গোপনে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল জ্যোৎস্না। একসময় তা গড়ায় যৌনতাতে।
ঘটনার সূত্রপাত সেখানেই। ভৈরবের অভিযোগ ছিল, পথিকের সঙ্গে জ্যোৎস্নাকে যৌনমিলনের সময় হাতনাতে ধরে ফেলে সে। স্বামীর চোখে ধুলো দিতে বাড়ির গোয়ালঘরকে যৌনতার জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিল অবৈধ প্রেমিক যুগল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যায় ভৈরবের হাতে। স্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি ভৈরব। ধারাল অস্ত্রের কোপে হত্যা করে স্ত্রীকে। তাঁর রোষ থেকে রেহাই পায়নি পথিকও। তারও একই পরিণতি হয়।
ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন ফেরার ছিল ভৈরব। তদন্তে নেমে ভৈরবকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। বেশিদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি ভৈরব। ধরা পড়ে পুলিশের জালে। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। প্রায় বছর দুয়েক পর সাজা ঘোষণা হল ভৈরব কুণ্ডুর। স্ত্রী ও প্রতিবেশী যুবককে খুনের দায়ে ভৈরবকে দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়া আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর। আজবীন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।