কুয়েতের শাসক শেখ সাবা চিকিৎসা নিতে ভারতে পৌঁছেছেন।
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
কুয়েতের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ সাবা আল আহমদ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ হৃৎপিণ্ডের জটিলতায় ভুগছেন। সম্প্রতি চিকিৎসা নিতে ভারতের গ্রেটার নয়ডা পৌঁছেছেন।
মাত্র কয়েকদিন আগেই কাতারকে নিয়ে সৃষ্ট উপসাগরীয় সংকট মোকাবেলায়ে এইদেশ-ওইদেশ দৌড়াদৌড়ি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এনবিটি জানায়, একাধিক রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা কুয়েতি আমিরের সঙ্গে আছেন তার ৮জন স্ত্রী আর পরিবারের ২৮ সদস্য।
কুয়েতি শাসক নয়ডার জেপি (জয়পি) রিসোর্টে অবস্থান করছেন এবং তার চিকিৎসা চলছে জেপি হাসপাতালে। সেখানে ২০ চিকিৎসকের একটি টিম আমির ও তার পরিবারের স্বাস্থ্য সেবায় ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় মিডিয়া জানায়, রিসোর্ট থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার পথ তারা হেলিকপ্টারে আসা যাওয়া করেন। এছাড়া, হাসপাতালের তিনটা স্যুইটের ইন্টেরিয়র ডিজাইন কুয়েতি আমির সেখানে পৌঁছানোর ১৫ দিন আগেই পাল্টে সেগুলোকে শানদার করা হয়েছে।
চিকিৎসক দলের সদস্য ডেন্টাল সার্জন প্রবীণ কুমার জানান, কুয়েতি আমির পৌঁছানোর প্রায় একমাস আগে তার ব্যক্তিগত প্রধান চিকিৎসক সদলবলে জেপি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। সেমময় তারা ভারতের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। শেষে জেপি হাসপাতালকে পছন্দ করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শেখ সাবার স্বাস্থ্যগত বেশকিছু জটিলতা রয়েছে। তার হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে কৃত্রিম নল স্থাপন করা হয়েছে। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস আর কিডনি সমস্যায়ও ভুগছেন।
গত সোমবার গ্রেটার নয়ডায় পৌঁছানো শেখ সাবা আগামীকাল শুক্রবার দেশে ফিরে যাবেন। তবে তিনি বিমানে করে দিল্লি পৌঁছান গত রবিবার। এরপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে জেপি গ্রিন রিসোর্টে যান।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের নেতৃত্বে প্রতিবেশী ক্ষুদ্র দেশ কাতারকে অবরোধ করা নিয়ে চলমান উপসাগরীয় সংকট দূরীকরণে ওই অঞ্চলের অপর ক্ষুদ্র দেশ কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ব্যাপক তৎপরতা চালান।
অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি সফর করেন সৌদি আরব-কাতারসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। ২০১৪ সালে কাতারকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা তার দূতিয়ালিতে দূর হলেও এবার তা হয়নি। এ নিয়ে তার মাঝে কিছুটা হতাশা দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।