বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার যারা পেলেন
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কৃষিতে রাষ্ট্রীয় সর্ব্বোচ্চ এ সম্মাননা স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জ এ তিন বিভাগে মোট ৩২টি পদক প্রদান করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৩’ প্রদান করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন: স্বর্ণপদক: এক প্রতিষ্ঠানসহ চারজন এ পদক পেয়েছেন। দেশের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরুণের পাশাপাশি মাছ রপ্তানী করে জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি সরুপ মৎস্য অধিদফতর এ পুরস্কার লাভ করে।
এছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপনে আলহাজ মো. মকবুল হোসেন এমপি, ভোলা জেলার মনপুরা এলাকার নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, কৃষি গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. রাখহরি সরকার, কৃষি সম্প্রসারণে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম স্বর্ণ পদক পান।
রোপ্যপদক: কৃষি গবেষণায় গোল্ডেন বার্ন কিংডম প্রাইভেট লিমিটেড, কৃষি সম্প্রসারণে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মো. মনিরুজ্জামান, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার মোসা. সুলতানা ইয়াসমিন, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে ময়মনসিংহ, মুক্তগাছা’র মো. সেলিম রেজা।
কৃষিতে মহিলাদের অবদানে বেগম সালেহা ইকবাল, বাণিজ্যিক ভিত্তিকে খামার স্থাপনে গুলশান এলাকার সাখাওয়াত হোসেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি চাষে নওগাঁ জেলার মো. ইসরাফিল আলম এমপি, চট্রগ্রাম জেলার নাজিম উদ্দিন হায়দার, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষে ঝিনাইদহ জেলার বেগম লাভলী ইয়াসমিন।
ব্রোঞ্জ পদক: কৃষি সম্প্রসারণে সৈয়দপুর নীলফামারি এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উজেলার উপসহকারী কর্মকর্তা মো. বকুল হোসেন, নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদির।
প্রাতিষ্ঠানিক সমবায় ও কৃষক পর্যায়ে উচ্চ মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপনে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় এলাকার মো. আমজাদ হোসেন।
কৃষির উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণায় জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ শেখ মো. মুজিহিদ নোমানী, টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার সাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম খান।
পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে রংপুর জেলার মিঠাপুর উপজেলার ময়েনপুর কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মো. নিমাজ উদ্দিন।
কৃষিতে মহিলাদের অবদানে যশোর জেলার সদর উপজেলার বেমগ ফারহানা ইয়াসমিন, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার শিখা রানী চক্রবর্তী।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপনে মাগুরা জেলার মাগুরা সদরের মো. বাবুল আক্তার, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদরের শেখ হুমায়ন কবির, ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদরের মো. মাহফুজুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদরের মো. মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, বান্দরবন জেলার বান্দরবন সদরের সিংপাত ম্রো।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনায়নে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্র গালিজ কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতি লিমিটেড।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার ছারোয়ার আলম মজুমদার বাবুল।