সেলিনা জাহান প্রিয়ার কবিতা।। কৃষ্ণচূড়ার ঘর
কৃষ্ণচূড়ার ঘর
————— সেলিনা জাহান প্রিয়া
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে
কতোদিন খেলা হয় না
কৃষ্ণচূড়ার ফুল দিয়ে ঘর সাজানো খেলা ।।
ভ্রমর কী ফুলকে ভালোবাসে?
অথবা মধুর নেশা শুধু তার মনে?
লায়লা-মজনু আর শিরি-ফরহাদ
তাদের মাঝে কী কোনো ভালোবাসা ছিল?
না কি শুধু দেহের আকুতিটুকু আর কিছু নয়,
সৃষ্টির অনন্ত খেলা, এই জীবনের।
সে কি মোহ, না কি মায়া, না কি মহামায়া !
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে !
স্বপ্ন এক রাজকন্যা, সত্য সে তো জীবন খেলা ।।
দু’জনেই কাগজে লেখে কাব্যকাহিনী
সমর্পিত মিথ্যের চমক বাহার প্রেম
স্বপ্ন যে সাম্রাজ্য গড়ে,
সত্য প্রেম তার পাহারাদার রাজ মহলের ।
বুকের ভেতর চেপে রাখা আছে টগবগে প্রেম
আর আগুনের সলতেগুলো জ্বালিয়ে রেখেছি
একটি কবিতা অথবা প্রেমের গদ্য লিখব বলে।
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে ।।
আমার কবিতাগুলো খোলা পায়ে হেঁটে গেলে
দিগন্তের মেঘগুলো কথা বলে প্রেমিকার মতো
হৃদয়ের অভিধান খুলে দেখি তুমি নেই।
আমি মন ভুলে আন্তরিক সীমানা পিলারে ওড়াই বাসনা।
তুমি প্রাণ খুলে ভুলে হয়ে যাও তুমিহীন অরন্য ।
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে
টুকটুকে রঙের ভেতর থেকে নীলাভ নিবিড়
ছিনিয়ে নিতে চাইনি কখনও
মধ্যরাতের বেহালা বাদন যেদিন গড়িয়ে পড়েছিল
ভোরের বাতাসে
নোঙর হোক বা না হোক
থামুক কিংবা না থামুক
সময় যাচ্ছে, সময়ের নিয়মে
নিয়তি কিংবা প্রকৃতির নির্দেশে
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে !
কতোদিন খেলা হয় না
কৃষ্ণচূড়ার ফুল দিয়ে ঘর সাজানো খেলা ।
ফিরে এসো প্রিয়তম ফিরো এসো
ভালবাসার প্রথম প্রহর স্নিগ্ধ দিনের কাছে ফিরে এসো
দেখো এখানে রক্তিম নদীর শরীরে যৌবন এসেছে আবার
তুমি ফিরে এসো !
রাগ, অভিমান অথবা ভুল বোঝাবুঝির হবে অবসান
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি বিপন্ন জোছনাগুলো
মলিন বেদনার মত বৈরাগী
প্রিয়তম জীবনের প্রথম ভালোবাসা হারালে
কারো কিছু থাকে না আর
কৃষ্ণচূড়ার নির্জন দুপুরেরঙে
একবার রাঙিয়ে নিতে পারো নিজেকে
কতোদিন খেলা হয় না
কৃষ্ণচূড়ার ফুল দিয়ে ঘর সাজানো খেলা ।।