নীলফামারীতে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
এস কে রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় পশু কেনাবেচার হাট নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঢেলাপীড়ের হাট এবং সদর উপজেলার কালিতলা বাসস্ট্যান্ড হাট ও বাসস্টান্ড সংলগ্ন মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠ হাট। কোরবানির ঈদকে ঘিরে জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা গরুর বেপারীরা বিক্রির জন্য হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন। ফলে জমে উঠতে শুরু করেছে এসব হাট। প্রতি রোববার ও বুধবার সদরের কালিতলা বাসস্ট্যান্ড হাট ও বাসস্টান্ড সংলগ্ন মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠ হাটে গরু বেপারীরা হাটে গরু আনছেন বিক্রির জন্য। আর সৈয়দপুরের ঢেলাপীড় হাটে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার গরু উঠছে। এখনো ভারতীয় গরু বাজারে ঢুকতে না পারলেও দেশি গরুর বেপারীদের মনে তেমন খুশি নেই।
কারণ, দাম না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের। ক্রতারা আসছেন, পছন্দ করছেন তবে কিনছেন কম। পাইকারী গরুর ব্যবসায়ীরাই মূলত গরু কিনছেন বেশি। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন এখন যে দাম যাচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছেন না। বাজারে দেশি জাতের লাল গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দুই থেকে তিন মণ ওজনের একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়, ছয়-সাত মণ ওজনের একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০থেকে ৭০ হাজার টাকায়। এই দাম আরো বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। প্রচুর দেশি জাতের গরু হাটে আসায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা খুশি। অনেকে এখান থেকে গরু কিনে বেশী লাভের আশায় ঢাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বেপারীরা জানান, এখন কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গরু বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তবে ঈদ নিকটে এলে ভারতীয় গরু বাজারে ঢুকে পড়লে গরুর দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া, বন্যার কারণে নীলফামারী বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকের হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় গরু বিক্রির বাজারে মন্দা ফেলতে পারে বলে বিক্রেতাদের আশঙ্কা।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।