‘ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো দাম পেতে হলে নেগোসিয়েশনের দক্ষতা বাড়াতে হবে’-ড. আতিউর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
‘বাজারের অদৃশ্য হাত থাকতে পারে, কিন্তু তার হৃদয় নেই। তাই আমাদের সবুজ পণ্যের ভালো দাম পেতে হলে বিদেশী ক্রেতাদের সাথে উপযুক্ত নেগোসিয়েশনের দক্ষতা দেখাতে হবে।’ আজ (২৯ মার্চ) সকালে নিওস্টার ইনোভেশন আয়োজিত সবুজ উন্নয়ন বিষযক এক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত মি. মাইকের হেমনিতি উইন্থার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিজিএমইএ-র সিনিয়র ভাইস- প্রেসিডেন্টে জনাব ফারুক হাসান ও স্রেডার সদস্য জনাব সিদ্দিক জোবায়ের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিস্ময়কর রূপান্তরের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ব বস্ত্র রপ্তানী বাজারে তার চলমান প্রাধান্য বজায় রাখার জন্যেই প্রতিযোগী মূল্যেই পণ্য বিক্রি করতে হবে। সে জন্যে সকল নিয়মকানুন মেনেই যেন উদ্যোক্তারা উৎপাদন করেন সে দিকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।
ড. আতিউর রহমান বস্ত্র ও চামড়া রপ্তানী খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কম খরচের ও মধ্যমেয়াদী সবুজ তহবিল সংগ্রহের পরামর্শ দেন। এই তহবিল খরচ করে কারখানাগুলোর সবুজায়নে মনোযোগী হবার তিনি আহ্বান জানান। আর তারা এ পথে হাঁটলে এক দিন বাংলাদেশ সবুজ বস্ত্র উৎপাদনকারী দেশের ব্র্যান্ড নাম হিসেবে বিশ্বের ভোক্তাদের কাছে পরিচিতি লাভ করবেন বলে তিনি তাঁর আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা খুবই উদ্ভাবনীমুলক উল্লেখ করে তিনি বলেন যে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যে ভাবে চ্যালেঞ্জগুলোকে তারা সুযোগে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে তা এক কথায় বিস্ময়কর। এই উদ্যোক্তাদের তাই তাদের এই সবুজায়নের পথের বাঁধাগুলো দূর করে নানামুখী প্রণোদনা দেবার জন্যে নীতি নির্ধারকদের কাছে আহ্বান জানান।