খানসামা-রাণীরন্দর সড়কে বিন্যাগাছের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

 

 

ভূপেন্দ্র নাথ রায়, খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধি  । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

দিনাজপুরের খানসামা-রাণীরবন্দর সড়কের দুই ধারে লাগানো পাহাড়ী বিন্যাগাছের কারণে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
সূত্রমতে, বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ধ্বসে যাওয়া রোধে বিগত ৭/৮ বছর পূর্বে স্থানীয় জমির মালিকরা এসব বিন্যাগাছ রোপন করেন। কিন্তু বর্তমানে তা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে খানসামা উপজেলা সড়কের পাকেরহাট বাইপাস রাস্তা, গোয়ালডিহি, আঙ্গারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, টংগুয়া, হোসেনপুর সহ বেশ কিছু স্থানে এসব পাহাড়ী বিন্যাগাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার সেন্টারডাঙ্গা থেকে পুরান দিঘির মোড় পর্যন্ত সড়কের দুপাশে প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি স্থানজুড়ে বিন্যার গাছগুলো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এতে করে দুই প্রান্তে কি আছে বা কি আসছে তা সহজে দেখা যায় না। ফলে অসাবধানতাবশতঃ দুঘর্টনা ঘটার আশংকা করছেন নিয়মিত আসা-যাওয়া অনেক পথযাত্রীরা।
এ ব্যাপারে বিন্যাগাছ রোপনকারী কয়েক জনের সাথে গত এক মাস পূর্বে কথা হলে তারা আগামি দুই একদিনের মধ্যে এসব কেটে নেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পর মাত্র কয়েক জন এসব বিন্যাগাছ কাটলেও বাকিরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
কথা হয় নিয়মিতি পথযাত্রী রাণীরবন্দর সানলাইট স্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. মাহামুদুল্লাহ বুলবুলের সাথে। তিনি জানান, ‘আমাকে প্রতিদিন দু’জন স্কুল পড়–য়া বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। কোনদিন সময় সংকটের কারণে মোটরবাইকে করে একটু দ্রুত যেতে হয়। এ সময় অপোজিট থেকে কোন ট্রাক্টর, অটো রিক্সা, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটি কিংবা অন্য কোন যানবাহন আসলে সাইড দেয়ার জায়গা থাকে না। বিন্যাগাছের ধারালো পাতা দিয়ে মুখ ও হাত কেটে যায়।’
অপরদিকে, হাসিমপুরের বিকাশ রায় বলেন, ‘এই পথে একদিন ঢাকা কোচের সাথে পাশ কাটাতে বিন্যার একটি পাতা দিয়ে আমার কপাল কেটে গেছে। ভাগ্যিস অল্পের জন্য চোখটা বেঁচে গেছে।’
এছাড়াও স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুল হাই জানান, ‘আমি অনেককে তাদের নিজ নিজ রোপন করা বিন্যাগাছ কেটে নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু দু একজন কাটলেও বাকিরা কাটছে না।’


 

  • কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!