খানসামায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ। পরিবারের দাবী বিষপানে আত্মহত্যা।।
খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের খানসামায় পারিবারিক ঝগড়ায় মার পিটের কারনে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ করেছেন মেয়ের পরিবার। স্বামীর পরিবারের দাবী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কেউই সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। তারা জানায়, ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। তবে পারিবারিক কারনে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার বিষয়টি শুনেছেন।
এদিকে মেয়ের ফুপি কাঁদতে কাঁদতে জানায়, তাদের মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং বেঁচে থাকতে তাকে(ফুপি) দেখতে দেওয়া হয়নি। মৃতের দাদা আফাজ উদ্দীন(৭০) এর সাথে কথা হলে তিনি কেঁদে কেঁদে জানান, মেয়ের বাবা জন্ম দিলেও তিনি লালন-পালন ও বড় করেছেন। কিভাবে মৃত্যু হয়ছে এ বিষয়ে তিনিও জানেন না। মৃত্যুর কথা শুনে তিনি ছুটে এসেছেন। ঘটনাস্থলে মেয়ের মা’কে পাওয়া যায়নি। মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ দিতে থানায় গেছেন। ফোনে যোগাযোগ করেন তার মতামত পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ৫ নং ভাবকী ইউনিয়নের কাচিনিয়া গ্রামের চন্ডী পাড়া আফাজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (আনু:৫০) এর মেয়ে তাজমিরা বেগমের পাঁচ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের ২ নং আগ্রার অলেশা পাড়ার জব্বারে ছেলে আনোয়ারের (একই নাম-৩০) সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের প্রায় চার বছরের একটি মেয়ে সন্তান আছে। গত ৯ এপ্রিল রাত ৮-৯ টার দিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরের দিন ১০ এপ্রিল (সোমবার) সকালে ঝগড়ার রেশ ধরে তাজমিরা অসুস্থ হয়। অবস্থার অবনতি হলে সকাল ১১টার দিকে এ্যাম্বুলেন্স করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, পথিমধ্যে দিনাজপুর দশমাইলে মারা গেলে বাড়ী ফিরিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে উক্ত দিন বিকেল ৩ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে লাশটির প্রাথমিক সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে গ্রাম্য চিকিৎসক সুধীন্দু রায়ের সাথে কাচিনিয়া বাজারে তার চেম্বারে দেখা করলে তিনি জানান, সকালে তাকে খবর দিলে রোগীর অবস্থা গুরুতর দেখেন। ঐ সময় পালস রেট ছিল না এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। তিনি দ্রুত দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে ৫ নং ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। পুলিশ আসার পর তাকে অবহিত করা হয়েছে। মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার উত্তম কুমারের সাথে গতকাল (১১এপ্রিল) সন্ধায় ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, লাশের ঘরে একটি দানাদার বিষ গুলানো মগ পাওয়া গেছে এবং লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুরো রিপোর্ট আসলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।