ঘটা করে এরশাদের ৮৬তম জন্মদিন উদযাপন
সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মহম্মদ এরশাদ তার ৮৬তম জন্মদিন ধুমধাম করেই উদযাপন করলেন। জন্মদিনে ছোটভাই জিএম কাদের, শেরিফা কাদের, ছেলে সাদ, পুত্রবধূ, এরিখ, পালিত কন্যা মেহজাবিন ও অনন্যা হোসেন মৌসুমীসহ পরিবারের আত্মীয় স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মীর ভালবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।
এইচ এম এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলায় তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তী সময় তিনি সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি হন। পরে গঠন করেন জাতীয় পার্টি।
জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার ১২.0১ মিনিট থেকে রাত পর্যন্ত নিজ পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীরা কেক কেটে, ফুলের বন্যায় ভাসিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান। কামনা করেন তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য।
জন্মদিন উপলক্ষে রাতেই ছেলে সাদ এরশাদ, এরিখ ও পুত্রবধু, কন্যা মেহজাবিনকে নিয়ে ডিনার করেন এরশাদ। রাত ১২টা ১ মিনিটে ছোটভাই জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদের, পালিত কন্যা অনন্যা হোসেন মৌসুমী ও তার পরিবার, ছেলে এরিখ এরশাদ ও দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারকে নিয়ে বারিধারার বাসায় কেক কাটেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
এ সময় পরিবারের সদস্য ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, তাজ রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, এমএ তালহা, আশরাফ সিদ্দিকী, বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তারপর এরশাদ মহাসচিবের আনা কেক কাটেন। পর্যায়ক্রমে জাতীয় যুবসংহতির কেক কাটেন। পরে পালিত কন্যা মৌসুমীর কেক কাটেন তিনি।
রবিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী অফিসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন এরশাদ। সেখানে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে নিয়ে বিশাল আকৃতির কেক কাটেন তিনি।
এ সময় মহানগর নেতা আজগর আলী, হাজী ফারুক, সুজন দে, শেখ মাসুক, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুর রহমান খসরুসহ নগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় রাজধানী গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে কেক কাটে মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি।
এ সময় দলের কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মহানগর উত্তর সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, বাহাউদ্দিন বাবলুসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে এরশাদের বাসায় মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক পার্টি নেতার জন্মদিন উপলক্ষে এরশাদ কেক কাটেন। এ সময় নাজিমউদ্দি ভূইয়া, রাশেদ সিদ্দীকি, জাকির হোসেন মৃধা, জামাল হোসেনসহ সাংস্কৃতিক পার্টির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এরশাদের বারিধারাস্থ বাসভবনে এবং বনানী কার্যালয়ে সালমা ইসলাম এমপি ও অন্যন্যা হোসাইন মৌসুমী নেতৃত্বে জাতীয় মহিলা পার্টি, সাইদুর রহমান টেপা ও লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের নেতৃত্বে জাতীয় কৃষক পার্টি, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া ও বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় যুবসংহতি, সৈয়দ ইফতেখার আহসান ও মিজানুর রহমান মিরুর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন এবং এরশাদকে শুভেচ্ছা জানান।
সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে বিদেশী কূটনৈতিক এবং রাজনীতিবিদদের সম্মানে ডিনারের আয়োজন করেন। এখানে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন এরশাদ।
পার্টির চেয়ারম্যানের ৮৬ তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে ৮৬ পাউন্ড কেক নিয়ে আসেন দলের মহাসচিব। এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. ইব্রাহিমসহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের বোন মেরিনা রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রিন্টু আনোয়ার, মেজর অব. খালেদ আকতার, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ নোমান এমপি, সুলতান মাহমুদ, অন্যন্যা হোসাইন মৌসুমী, সৈয়দ ইফতেখার আহসান, মিজানুর রহমান মিরুসহ জাপার শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।