‘ফের সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে চরম মূল্য দিতে হবে’
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ধানমণ্ডির রাসেল স্কয়ারে সমাবেশ দুটির আয়োজন করে। দুই সমাবেশ শেষে বিজয় শোভাযাত্রা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অপরিহার্য ছিল মন্তব্য করে নেতারা আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে কেবল গণতন্ত্র রক্ষাই পায়নি, সাংবিধানিক শাসনও সুরক্ষিত হয়েছিল। শত ষড়যন্ত্র, আগুনসন্ত্রাস ও নাশকতা মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করেছিলেন। ওই নির্বাচনের বিজয়ের পর শেখ হাসিনা এখন দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উত্তীর্ণ করছেন।’
৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি ৭ জানুয়ারি সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও ওইদিন তাদের রাজপথে নামতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ক্ষমতাসীন দল নেতারা।
রাজধানীর এই দুই সমাবেশেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সমাবেশমঞ্চ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করা হলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী ও মানুষের উপস্থিতিতে সমাবেশের পরিধি শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, মুক্তাঙ্গন ও গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ছাড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে রাসেল স্কয়ারের সমাবেশমঞ্চ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে করা হলেও রাসেল স্কয়ার ছাড়িয়ে শুক্রাবাদ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই সমাবেশেই উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করলেও বক্তব্য রাখেননি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে অন্যদের বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন,ডা. দীপু মনি,ড. হাছান মাহমুদ।