বিচারপতি সিনহা চিরতরে নির্বাসনে?

বিচারপতি সিনহা চিরতরে নির্বাসনে?
রণেশ মৈত্র
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

ঘটনাক্রম এত দ্রুত একের পর নতুন নতুনভাবে বিন্যস্ত হলো যে কিছুতেই যেন তাল মেলানো যাচ্ছিল না। কোথা দিয়ে শুরু তা জানা বা বুঝা গেলেও অনুমানই করা যাচ্ছে না এর ইতি বা সমাপ্তি কোথায় কবে এবং কিভাবে ঘটবে।
সম্ভাবনা হিসেবেই জানান হয়েছে বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহা যিনি ইতোমধ্যেই ছুটি দিয়েছেন এবং মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ঐ ছুটির মেয়াদ দিন দশেক বাড়িয়েছেন ১৩ অক্টোবর ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে ও অবকাশ যাপনের লক্ষ্যে। জানামতে এখনও তিনি সেখানেই আছেন।
প্রধান বিচারপতি সিনহা এতকাল ‘অসুস্থা’ নিয়েই বিচার কার্য্য দিব্যি পরিচালনা করে আসছিলেন দুই বছরের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কিন্তু হঠাৎ করেই আর তিনি তা করছেন না। ‘ছুটি’ নিলেন প্রথম দফায় ৩০ দিনের জন্য। ঘটা করে তার প্রচার-প্রচারণাও দেশবাসীকে প্রত্যক্ষ করতে হলো। কিন্তু এর আগে পর্য্যন্ত তো প্রধান বিচারক বা অন্য কোন বিচারক কে কতদিনের জন্য ছুটি নিলেন বিদেশে গেলেন না কি দেশেই থাকলেন তা কোন পত্র-পত্রিকা বা বেতার টেলিভিশনে বা অনলাইন মিডিয়াগুলিতে স্থান পেতে দেখি নি। কোন প্রচার-প্রচারণাও হতো না।
এবারেই তাই সমগ্র জাতি এই নতুন অভিজ্ঞতার সন্ধান পেলেন।
কিন্তু কেন, কি কারণে অকস্মাৎ ছুটির প্রসঙ্গ নিয়ে?
আগেই বলেছি এ এক নতুন অভিজ্ঞতা দ্বিতীয়ত যখন তিনি ৩০ দিনের ছুটি নিলেন, তখন বলা হলো ১ নভেম্বর পর্য্যন্ত এই ছুটি। কোন অসুখ বিসুখের খবর কেউই জানতাম না। তাবে ছুটি কেন কেউই জানতাম না। তবে ছুটি কেন তা নিয়ে যখন নানামহল প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছুঁড়ছেন আইন মন্ত্রী তখন জানালেন তিনি ক্যান্সারের রোগী তাই ছুটি নিলেন।
কিন্তু তাঁর অবস্থা কি খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছিল? তা কিন্তু ঘটনা পরম্পরায় মনে হয় না। তিনি সন্ত্রীক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন লক্ষীপূজা দিতে। সেখানে ভি.আই.পি রুমে আধা ঘন্টার মতো দু’জন পরিচিত ব্যক্তির সাথে কথাবার্তাও বললেন। যাঁদের সাথে কথা হলো তাঁরা উভয়েই জানালেন, কৈ তেমন কোন অসুস্থ বলে তো মনে হলো না।
অত:পর দেখা গেলো বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই গেলেন তাঁর বিদেশ যাওয়ার কোন সম্ভাবনার কথা কোন মহল থেকেই উচ্চারিত হতে শুনা গেল না। ছুটি মঞ্জুর হলো ৩০ দিনের কাজে যোগ দেবেন ২ নভেম্বর এমন ধারণা হলো আমাদের সকলের।
অত:পর তিনি দিন দশেকের জন্য ছুটি বাড়ালেন। আগে থেকেই গুজব রটেছিল, বিচারপতি সিনহাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তিনি অষ্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন……ইত্যাদি। বাস্তবেও দেখা গেল তিনি স্বয়ং অষ্ট্রেলিয়ার ঢাকাস্থ হাইকমিশনে গিয়ে পাঁচ বছরের জন্য multiple entry ভিসা চেয়ে আবেদন করলেন। তিন বছরের জন্য তা মঞ্জুর হয়েছে।
এবারে তাঁর অষ্ট্রেলিয়া যাবার পালা। কিন্তু তাঁর বর্ধিত ছুটির আবেদন মঞ্জুর হতে বিলম্ব হওয়ায় যেতেও বিলম্ব হচ্ছে।
অত:পর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে দেশে ফেরার পর তিনি আইন মন্ত্রণালয় প্রেরিত প্রধান বিচার পতির ছুটি বৃদ্ধির আবেদনটিতে অনাপত্তি জানালেন। তখনই আবেদন পত্রটি চলে গেলো বঙ্গভবনে। রাষ্ট্রপতি ছিলেন দিন চারেকের কিশোরগঞ্জ সফরে। তা শেষ করে তাঁর সরকারী বাসভবনে ফিরেই ছুটি অনুমোদন করলেন।

add2গুজবে জানা গেল, ১৩ অক্টোবর বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনস যোগে অষ্ট্রেলিয়া রওনা হলেন। কার্যত ও শেষতক দেখা গেলো তথ্যটি সত্য। তিনি ঐদিন রাত পৌনে দশটার দিকে সন্ত্রীক অষ্ট্রেলিয়া যাবার জন্য সরকারী গাড়ীতে করে বিমানবন্দর অভিমুখে রওনা হলেন। সেখানে রওনা হওয়ার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের ও ক্যামেরার (টি.ভি. ক্যামেরা) সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের অজশ্র প্রশ্নের মুখে পড়ে।
একটি টাইপ করা বিবৃতি তাঁদের হাতে ধরিয়ে দিলেন যাতে মূল কথা ছিল তিনি সুস্থ। তিনি কিছু সংখ্যক মন্ত্রী ও সরকার দলীয় এম.পি সংসদে যে ভাষায় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ও তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন তাতে খুবই বিব্রত। এছাড়াও তিনি ঐ বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সম্পর্কে  ‍ভুল বুঝানো হয়েছে তবে তা অচিরেই কেটে যাবে।
আর বলেছেন, পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছেন, শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে ও বিচার বিভাগে নানা পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন করা হবে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপ্রতি কোন পরিবর্তন বা সংস্কার করার কোন রেওয়াজ নেই।
এই সংক্ষিপ্ত বিবৃতিটি তাৎক্ষণিকভাবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলি ব্যাপকভাবে প্রচার করলো। সামান্যতম কালবিলম্ব না করে বিস্ময়করভাবে মন্ত্রী মহোদয়েরা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করলেন এই বিষয়ে শীঘ্রই তাঁরা দলীয় সভায় মিলিত হয়ে আলোচনা করে তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন।
প্রধান বিচারপতির একটি বিবৃতি নিয়ে দলীয় বৈঠক দলীয় মতামত প্রকাশ বিশেষ করে সর্বোচ্চ আদালতের প্রশাসন ও সংস্কার সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির বিবৃতিকে ঘিরে কোনদিন পৃথিবীর কোন দেশে সম্ভবত: কেও কল্পনাও করতে পারেন না। আমাদের দেশেরও তার কোন নজির নেই।
কিন্তু ঐ রাতেই (বা পরদিনই দলীয় বৈঠকে) প্রধান বিচারপতি সিনহার ঢাকা বিমানবন্দরে প্রদত্ত বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করা হয় তোড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠিত ঐ দলীয় সভায়।
আবার পৃথিবীর নজির বিহীন ঘটনা ঘটালেন সিনহার রেখে যাওয়া সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিবৃতি প্রচার করে বলা হলো, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পাঁচজন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে মাননীয় রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ প্রধান বিচারপতি বঙ্গভাবনে ডেকে নিয়ে এস.কে সিনহার বিরুদ্ধে ১১ টি অভিযোগ দেখালেন। তবে ঐখানে একজন বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতি সিনহা অনুপস্থিত ছিলেন। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে জানান, অভিযোগুলি গুরুতর। সুতরাং তাঁরা এগুলি নিয়ে প্রধান বিচার পতির সাথে দেখা করে তাঁর বক্তব্য শুনবেন। যদি তিনি কোন সন্তোষজন জবাব না দিতে পারেন তবে তাঁরা তাঁর সাথে বেঞ্চে বসে বিচার কাজ করবে না।
অত:পর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সকল বিচারপতি এক সঙ্গে গিয়ে অভিযোগগুলি তাঁকে জানান। কিন্তু তিনি ‘সন্তোষজন’ জবাব না দেওয়ায় সকল বিচারপতি জানিয়ে দেন তাঁরা আর তাঁর সাথে কোন বিচার বেঞ্চে বসে বিচার কাজ চালাবেন না। প্রধান বিচারপতি তখন বলেন সেক্ষেত্রে তিনি ‘পদত্যাগ’ করবেন।
কিন্তু বাস্তবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করলেন না। করলেন ছুটির দরখাস্ত। অর্থাৎ তিনি তাঁর কথা রাখলেন না। শেষ পর্য্যন্ত দ্বিতীয় দফা ছুটি নিয়ে তিনি অষ্ট্রেলিয়া চলে গেলেন ‘চিকিৎসার’ জন্য।
অত:পর জানা গেল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতে প্রধান বিচারপতির যাবতীয় দায়িত্ব সম-ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পালন করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে।
পরদিনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্ট সভা ডাকলেন। সেই সভায় তিনি বিচারপতিদেরকে জানালেন কি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রচার করা হয়েছিল। সেখনে বলা হয় বিচার পতি এস.কে. সিনহা ঢাকা বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রাক্কালে যে বিবৃতি দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট ঐ বিবৃতি প্রকাশ করে অস্থায়ী প্রধান বিচার পতির স্বাক্ষরে।
আমরা সাধারণ মানুষ এই ঘটনাবলী কিভাবে বুঝবো? যদি প্রধান বিচারপতি বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোন বিবৃতি না দিতেন তবে সুপ্রিম কোর্ট এই কথা অপরাপর বিচাপতির যৌথ সভা ডেকে জানানোর অর্থ স্পষ্ট:ই দাঁড়ায় যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি একক দায়িত্বে অন্য বিচারকদের সাথে পরামর্শ না করেই সুপ্রিম কোর্টের নামে (পূরো উচ্চতম আদালতকে সম্পৃক্ত করে) ছুটতে থাকা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন? সংবাদ মাধ্যমগুলির মাধ্যমে তা দেশে-বিদেশে প্রচারের ব্যবস্থা করলেন। করতে পারলেন এমন একটি নজিরবিহীন বিতর্কিত কাজ? এর দ্বারা প্রথমত: বিচারকদের মধ্যে দলবাজির অবকাশ তৈরী হলো আন্তর্জাতিক ও দেশীয় অঙ্গনে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি যে মুহুর্তেই বিলীন হলো মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলো তা কি মাননীয় ভারপ্রাপ্ত বিচারক একটুও ভাবলেন না?
দলবাজির প্রকাশ্যরূপ দেখা গেল যখন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে আকস্মিক ব্যাপক রদবদল ঘটানো হলো ব্যাপক সংখ্যায় ইতিহাসে যার তুলনা মেলা ভার। যাঁদেরকে বদলি করা হলো তাঁদেরকে চিহ্নিত করা এস.কে. সিনহার লোক হিসেবে।
জনমনে আরও গভীর সন্দেহ, সব কিছুই এখন সুপ্রিম কোর্টে চলছে বাইরের চাপে। আর এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়, যখন বিচারপতি সুরেন্দ কুমার সিনহা ছুটিতে থাকাকালে তিনি বিদেশে যাওার আগেই, আইনমন্ত্রী বলে বসলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে অনেক পরিবর্তন আনা হবে। শেষতক দেখা গেল তাই ঘটলো তিনি বিদেশ যাওয়ার পর কালবিলম্ব না করে। তবে কি প্রধান বিষয়টি এস.কে. সিনহার দেশত্যাগের সাথে সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও দেশান্তরী হলো?
একটি ছুটি নয় ১১ টি দফায় অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে প্রধান বিচার পতির বিরুদ্ধে। রয়েছে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, নৈতিক স্থলন প্রভৃতি। কিন্তু কখন আনা হলো এ অভিযোগ? যেইমাত্র তিনি বিমানবন্দর যাওয়ার সময় বিবৃতি দিয়ে বসলেন তিনি সুস্থ। বললেন, ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির দায়িত্ব রুটিন কাজ পরিচালনা মাত্র প্রশাসনিক রদবদল নয়। অদ্ভুতই বটে।
হলো মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে চারজন বিজচারপতির বৈঠক। প্রধান বিচারপতি তখন দিব্যি তাঁর নিজস্ব বাসভবনে উপস্থিত। বৈঠকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো-তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁকে না জানিয়ে। কেন এমন হলো? এর কোন নজির আছে কি? আবার আরও বিস্ময়কর যে অভিযোগনামা অভিযুক্ত প্রধান বিচারককে জানানোর মহান দায়িত্বটি কাঁধে তুলে নিলেন তাঁরই অধীনস্থ বিচারকেরা। তাঁরা এটা জানানোর দায় থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেরাই গিয়ে জানালেন জবাব চাইলেন জবাব তাঁদের কাছে “সন্তোষজনক” বলে মনে না হওয়ায় তাঁরা জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতিকে যে তাঁরা আর তাঁর সাথে বেঞ্চে বসে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। বলা হলো প্রধান বিচারপতিকে এটা জানানোর সাথে সাথে তিনি জানালেন, তাহলে তিনি “পদত্যাগ” করবেন। কিন্তু তা না করে তিনি ছুটির দরখাস্ত করলেন।
পদত্যাগপত্র দাখিল না করাতেই তাঁকে দলত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলেও গুজব সর্বত্র।
মাননীয় বিচারকেরা তাঁর সাথে আর বসবেন না একথার উদ্বৃতি দিয়ে আইন কর্মকর্তা জানালেন সেক্ষেত্রে তিনি দেশে ফিরলেও প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজের দায়িত্ব পাওয়া সিনহার পক্ষে সুদূরপরাহত।
কী দাঁড়ালো তা হলে? মাত্র ৩/৪ আর তাঁর চাকুরীর মেয়াদ ছিল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেওয়ার ফলে রাষ্ট্র কি এতটাই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠলো। বাংলাদেশর সংবিধানে কি এমন কিছু লেখা আছে? তদুপরি প্রধান বিচারপতির সাথে অধ:স্তন বিচারপতিরা বসতে অস্বীকৃতি জানাবেন এর কোনো নজির আছে কি?
দুর্নীতি, টাকা পাচার, নৈতিক স্থলনের অভিযোগে এত কিছু মাননীয় বিচারকেরা করলেন, কি যে অভিযোগগুলিকে করলো তার তদন্ত? বিনাতদন্তেই prima-facie অভিযোগগুলি প্রমাণিত বলে মাননীয় বিচারকেরা মনে করলেন? বিচারকেরা কি এতকাল এমন চট করেই তা করে থাকেন? না তেমন কোন নজির নেই। তবুও বিচার হইয়া গেল। বলা হয় বিচাপতি সিনহা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তা যদি সত্য হয় তবে তিনি দীর্ঘকাল আগে বিচারপতি হিসেবে এবং পরবর্তীতেও প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পেলেন কি করে? এসব অভিযোগ কি আসতো আদৌ যদি তিনি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় না দিতেন?


কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!