জি কে শামীমের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা রত্না
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গত ১৮ তারিখ থেকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনোতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ধরা পড়েছেন ক্যাসিনো মালিকরা। ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, টেন্ডার পেতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের ব্যবহার করতেন তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র অনুযায়ী ঢাকাই সিনেমার কয়েক জন নায়িকার কথা উঠে আসছে বার বার। যাদের মাঝে চিত্রে নায়িকা রত্না একজন।
এদিকে জি কে শামীমের সাথে কোন সম্পর্ক নেই এমনকি শামীমকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেননা দাবি করে চিত্রনায়িকা রত্না বৃহস্পতিবার তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি প্রকৃত দোষীদের নাম প্রকাশ করার অনুরোধ জানান প্রশাসনের কাছে। রত্নার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমি তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট আকুল আবেদন করছি জি কে শামীম নামক লোকটির সাথে জড়িত নায়িকাদের সঠিক নাম বের করে আনার জন্য। আর না হয় এভাবে তিন নায়িকা সাত নায়িকা…..সন্দেহে অনেক হলদে সাংবাদিক নিজেদের ফায়দা লুটার চেষ্টায় মগ্ন।
আমি শতভাগ নিশ্চিত যেসকল খবর ছাপা হচ্ছে তারা কোনরকম প্রমাণ ছাড়াই করছেন।আমি আশা করবো জুয়া খেলার যে অভিযান দেশে চলছে….এর সাথে মানুষের মান নিয়ে কিছু সাংবাদিক বরাবরই জুয়া খেলে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। সরকার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিকট আকুল আবেদন আপনারা এই জিকে শামীমকে নিয়ে জড়িয়ে যারা মিথ্যা খবর ছাপিয়ে কিছু নির্দোষ শিল্পীর মান নষ্ট করেছে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নিবেন, কারণ তারা শুধু ভুল তথ্য ছাপায় তা নয় অন্তরালে ঐ নায়িকার সাথে অনেক অপকর্মে ব্যর্থ হয়ে পরেই নির্দোষকে দোষী করে আর দোষীরা এই সুযোগে পার পেয়ে যায়।
আমি সকল প্রকৃত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনারাও এই মূর্খ হলদে সাংবাদিক গুলোকে চিহ্নিত করুন এবং প্রতিবাদ করুন।
আমি লক্ষ্য করেছি, প্রথম দিন জিকে শামীম এই নামটির সাথে অন্য পাঁচজন নায়িকার নাম সম্পৃক্ত করা হয়। পরদিন অন্য তিনজন এগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আনুমানিক ডিল। এগুলোতে জানিনা কী লাভ আপনাদের।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছি। আইন বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বর্তমানে আইন চর্চায় ব্যস্ত। আর এসব ডিগ্রী আমি নিয়েছি চলচ্চিত্রে এসে। আমার চলচ্চিত্রে কাজ করে অন্য কোনদিকে দৌড়ানোর সময় কখনও ছিলোনা। আমার চলচ্চিত্র সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ, আত্মীয়, বন্ধুমহল, সকলেই আমার সম্পর্কে জানেন। যদিও আপনাদের এই বিভ্রান্তিকর নিউজ আমার বা আমার আত্মীয়, পরিবারের মনে কোন বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবুও এমন ভুল তথ্য আপনাদের পবিত্র কলম দিয়ে কেন ছাপাবেন?
আমি অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি কাজের সুবাদে অনেক জায়গার যাওয়াও হয়, যদি একদিন জি কে শামীমকে কোথাও দেখতাম সকলকে জানাতাম। অমুক জায়গায় দেখেছি। এটা দোষের কিছু নয়। কারণ সে জুয়ারী কিংবা তার কত কোটি টাকা তার আছে এটাতো আর আমি জানতাম না এতে আমার দোষ কোথায় স্বীকার করতে। কিন্তু জীবনে কোনদিন তার নামটি শুনিনি আমি। কোনদিন কোন অনুষ্ঠানেও দেখা হয়নি। কিন্তু কিছু মিডিয়া আমার ছবি না জেনে ব্যবহার করছে। আমি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলাম আমি জি কে শামীমকে চিনিনা।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে সরকারের নিকট এবং প্রশাসনের নিকট সহায়তা চাইছি। এর সুষ্ঠু তদন্তের ফলাফল বের করে যেনো দ্রুত এর একটা সমাধান করা হয়।’