মোল্লা মোঃ জমির উদ্দিন এর কবিতা- জীবন বাজির গল্প
জীবন বাজির গল্প
-মোল্লা মোঃ জমির উদ্দিন
পেশা বেঁধে সবাই
ধরেছে জীবন বাজি
কে আগে আর পরে
আসুন একটু দেখি।
ডাক্তার নার্স সেবার
ব্রত নিয়ে, রুগীর
পাশে থাকাই স্বাভাবিক।
মেধার হিসাব কষে
তারাই সবার আগে,
পড়ালেখায় ইঞ্জিনিয়ার
ডাক্তারের কাছাকাছি।
এরা আবার নিরবে
কামায় টাকা কড়ি
ধনসম্পদ বানায় প্রচুর
না করেই জীবন বাজি।
এদের সবার প্রশিক্ষণ
আছে দেশমাতৃকার তরে
মগজের অবস্থান ঠিক
রেখে তাই সেবিছে
যে যেমন পারে।
জীবন বাজির ধার
দাড়েনা আমলাতন্ত্রে যারা
কেমন সেবা করবে তারা
দেশ-ও জাতির তরে
যেই মগজে দেখেছেন
আগে ছিল সাধারণ।
প্রশিক্ষণে সেই মগজই
উল্টে গিয়ে রাতারাতি
আগে যেমন ছিল
পরে অসাধারণ।
হিসেব করে দেখেন
অনেক ডাক্তার জীবন
দিল আমলাতন্ত্রই কারন।
প্রশ্ন আপনি করতেই পারেন
এটা কি বল্লেন, মনে পরে?
ভেজাল পিপি ই মাস্ক
নয়তো, পরালেন কাফন।
আমলা তন্ত্রের লোভের
নেইকো শেষ, মুক্তিযুদ্ধের
জাল সনদে স্বাস্থ্য সচিব
শেষ মেস।
জীবন বাজির গল্পের
নায়ক আমাদের কৃষক
ফসল ফলায় মাঠে
রোদে পুরে বৃস্টিতে ভিজে।
মাঝে মাঝে বজ্রপাতে
জীবন সঁপে দিছে
আমরাতো তার মুল্য বুঝে
সম্মান দেই না তারে।
সম্মান জানাই তারে
রিকশা ঠেলে বাপে
পোলারে বিচারকের
চেয়ারে বসাইছে।
লকডাউন ভালো উপায়
কভিড ১৯ মোকাবিলায়
জাতীয় জীবন বাজি রেখে
খুঁজছি বাচার উপায়।
দিন মজুরতো সাহায্য পায়
ভিখিরি হাত পাতে যত্রতত্র
মধ্য ভিত্ত কোথায় যাবে
নিজের হাত পা চিবিয়ে
খেয়ে রচনা করবে
জীবন বাজির গল্প।