জয় পেল রংপুর রাইডার্স
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহীর অধিনায়ক স্যামি। ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ১২ রানেই মুমিনুল হককে (৯) ফেরান স্পিনার সোহাগ গাজী। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেছিলেন লুক রাইট ও রনি তালুকদার।
দু’জনে মিলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন। তবে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে অর্ধেকের বেশি রান এসেছে রনির ব্যাট থেকে। ব্যক্তিগত মাত্র ১১ রানেই নাজমুল ইসলাম অপুর বলে সাজঘরে ফিরেন লুক রাইট। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি রাজশাহীর আইকন প্লেয়ার মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের পাশাপাশি রান পাননি সামিত প্যাটেলও। মাত্র ৩ রান করেই মালিঙ্গার বলে আউট হন তিনি।
দল যখন ৯০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসায় তখনি হাল ধরেন রাজশাহীর দলপতি স্যামি। ১৮ বলে ২৯ রানের কল্যাণে ম্যাচে ফিরে দল। স্যামির পাশাপাশি দলকে ম্যাচে ফেরাতে সাহায্য করেন জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন। শেষদিকে ফ্র্যাঙ্কলিনের অপরাজিত ২৭ এবং মিরাজের ঝড়ো ১৫ রানের কল্যাণে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী।
জবাব দিতে মাঠে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই চার উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। মোহাম্মদ মিঠুন ৩৩ বলে এক চার তিন ছক্কায় করেন ৪৬ রান। এছাড়া রবি বোপারা ২৩ বল থেকে অপরাজিত ৩৯ ও শাহরিয়ার নাফিস ৩৪ বল খেলে করেন ৩৫ রান।
নাফীস কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন মিঠুন। নাফীস-মিঠুন মিলে তৃতীয় উইকেট ৭৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৯০ রানের মাথায় কেসরিক উইলিয়ামসের বলে লুক রাইটের দুর্দান্ত ক্যাচে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন মিঠুন। তবে রংপুরকে আবারো ম্যাচে ফেরান রবি বোপারা এবং নাফীস।
তবে দলীয় ১১৩ রানে নাফীসকে ফেরালে ম্যাচে ফিরে রাজশাহী কিংস। তবে নাফীস বিদায় নিলেও দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন বোপারা। শেষদিকে ফ্র্যাঙ্কলিনের বলে প্যাটেলের ক্যাচ মিসে খেসারত দিতে হয় দলকে। শেষ পর্যন্ত বোপারার অপরাজিত ৩৯ এবং পেরারার অপরাজিত ২০ রানের কল্যাণে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর।
স্কোর-
রাজশাহী কিংস ১৫৪/৮ (২০)
স্যামি ২৯, ফ্র্যাঙ্কলিন ২৭*: অপু ২-২০
রংপুর রাইডার্স ১৫৫/৪ (ওভার ১৮.৪)
মিঠুন ৪৬, বোপারা ৩৯* ঃ ফ্র্যাঙ্কলিন ১-২৬
ফলাফল-
৬ উইকেটে জয়ী রংপুর রাইডার্স।
ম্যাচসেরা-
রবি বোপারা।