টবে কমলা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন শাহাজান আলী
যশোরের কেশবপুরের বুড়িহাটি গ্রামের শিক্ষক শাহাজান আলীর একটি গাছে শতাধিক কমলা ধরেছে। এ খবর জানতে পেরে দূরদূরান্তের বহু লোক তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
তিন বছর বয়সি গাছে থোকায় থোকায় কমলা ধরায় এ অঞ্চলে এ ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে শাহাজান আলী শখের বসে যশোর বিএডিসি অফিস থেকে অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি ৩ ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট কমলা লেবুর চারা সংগ্রহ করে বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করে আসছেন।
গত বছর ওই গাছে ফল ধরার খবর পেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভাগীয় কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার দাস গাছটি পরিদর্শন করে অভিভূত হন। এ সময় তিনি কমলা লেবু চাষ সম্পর্কে তাকে দিকনির্দেশনা দেন। নিয়মিত পরিচর্যায় ৩ ফুট উঁচু গাছটিতে এ বছর প্রতিটি ডগায় থোকায় থোকায় শতাধিক আধাপাকা কমলা লেবু ঝুলছে।
শাহাজান আলী জানান, টবের মধ্যে কম্পোস্ট সারের সঙ্গে রাসায়নিক সার মিশিয়ে কমলার চারাটি রোপণ করা হয়। তার ছেলে মিসবাহুজ্জামান রনি গাছটির নিয়মিত পরিচর্যা করছে। এ জাতের কমলা খেতে খুব সুস্বাদু।
তার বাড়িতে কমলা লেবু ছাড়াও লটকন, জলপাই, কামরাঙ্গা, করমচাসহ ১৮-২০ জাতের বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, এ দেশের পঞ্চগড় ও রাঙ্গামাটি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ হয়ে থাকে। এখন প্রায় সব জায়গায় কমলার চাষ হচ্ছে।
আমার কমলা লেবু গাছের ফুল গুলি পরে জাচ্ছে, এবং মগ ডাল গুলি শুকিয়ে জাচ্ছে কি করনীয়