টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের সামনে র্যাবের অভিযান আটক ৭ জনকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদানঃ
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে র্যাবের অভিযানে দালাল চক্রের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
টাঙ্গাইলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে র্যাব ১২ সি পি সি ৩ এর কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলো কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে তারেক(৪৮), বহরমপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক(৫১), টাঙ্গাইল পৌর এলাকার আকুর টাকুর পাড়ার মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে সালেক ইবনে জামান(৫৪), একই এলাকার মৃত কেতাব উদ্দিন এর ছেলে রাশেদ মিয়া, ফজলুর রহমানের ছেলে রিপন মিয়া (৩৫), ধুলেরচর এলাকার মৃত পলান শেখের ছেলে শাহীন মিয়া(৪৫), কাগমারা আমিনবাগ এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ(৪০)।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস পাল দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় আটককৃত ৭ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব কমান্ডার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ওই সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্র, ভোটার আইডি কার্ড সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যায়।
উপস্থিত সকলের সামনে মির্জাপুর থেকে পাসপোর্ট করতে আসা শফিকুর ইসলামের ছেলে ভুক্তভোগী শিপলুর হাতে দালালকে দেয়া ৯৫০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার গোস্বামী। তিনি বলেন সাধারণ পাসপোর্ট করতে সহ ৩৪৫০ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হয়, এরপর ২১ কর্মদিবস পর পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কেউ যদি জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে চায় সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে ভ্যাট সহ ৬৯০০ টাকা জমা দিতে হয়, এক্ষেত্রে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। সোনালী ব্যাংক সহ ৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নেয়া হয়। ভোগান্তি কমাতে বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম জমা নেয়া হচ্ছে। এরপর শুধু ছবি নিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল র্যাব ১২ সি পি সি ৩ এর কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুর রহমান জানান জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।