টাঙ্গাইল পৌর মেয়রসহ ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও সিদ্দিকী পরিবারের সদস্য আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মেয়র জামিলুর রহমান মিরন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরদিকে আজাদ সিদ্দিকী সরকারি সাদত কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি। তিনি তার ভাই কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আদালত সূত্র জানায়, জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী উভয়েই টাঙ্গাইল এর খান পরিবারের প্রধান আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
দুজনেই এ মামলায় জামিনে ছিলেন। টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওই দিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হত্যা মামলায় আটক খান পরিবারের বর্তমানে অন্যতম সদস্য এমপি আমানুর রহমান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি তার সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এদিকে জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী পরপর বেশ কয়েকটি তারিখ আদালতে হাজির না থাকায় আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় তাদের নিজ বাসার কাছে নিহত হন এবং বাপ্পির সঙ্গী আব্দুল মতিন নামক এক ব্যক্তিও সন্ত্রাসী হামলায় মারা যান।
ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিদ্দিকী পরিবারের দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী (সন্ত্রাসী হামলায় মৃত), ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ(সন্ত্রাসী হামলায় মৃত) ২০ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
উল্লেখ্য এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রৌফ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। এই দুজনের হত্যা মামলায় এমপি রানা ও তার ভাইদের আসামি করে মামলা করা হয়।