ডাকসুতে ৩০ ডিসেম্বরের পুনরাবৃত্তি হলো
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে মুখপাত্র মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আজ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ছাত্রলীগ বাদে অনিয়মের অভিযোগে প্রায় সব সংগঠন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ছাত্রদলও এ নির্বাচন বাতিলের দাবি করে।
আজ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এখানেও ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাতি দেখল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি ছাত্র সংগঠনের ভোট ডাকাতি, গুন্ডামি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছে। যে অনিয়ম ঘটেছে আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আবারও প্রমাণিত হলো আসলে নির্বাচন ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।’
গতকাল রোববার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাচন। এ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সেখানেও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়নি। মানুষ নীরব প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিতে যায়নি।
মির্জা ফখরুল বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান। জনগণের সঙ্গে গণসংযোগের জন্য তাঁরা বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সভার আয়োজন করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুলতান মনসুর শপথ নিয়েছেন। তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাংসদ হিসেবে সুলতান মনসুরের সদস্য পদ দেওয়াকে অবৈধ, বেআইনি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সুলতান মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য তিনি নন। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যে হাসপাতালে খালেদা জিয়া যেতে চান না, সে হাসপাতালেই তাঁকে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি মনে করেন যে এর আগে সেখানে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসা শেষ না করেই তাঁকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাঁর পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হোক এবং অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।’ এ ছাড়া সারা দেশে মিথ্যা মামলা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হয়রানি বন্ধ করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেন।
সরকার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট জানায়, মূল্য বৃদ্ধি হলে জনগণের ওপর চাপ তৈরি করবে। তাঁরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য দাবি জানান।