তিন বছরের সন্তানকে ত্যাগ করছেন এই কোটিপতি দম্পতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সংসার পিছনে ফেলে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের রাঠৌর দম্পতি। সেই সংসারে রয়েছে তিন বছরের কন্যাসন্তান। রয়েছে ১০০ কোটির টাকার সম্পত্তি।
বছর ৩৫-এর সুমিত রাঠৌর ও তাঁর স্ত্রী অনামিকা ইতিমধ্যেই একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন সেই পথে। দীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শেষ। সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ গুজরাতের সুরাটের সুধামার্গি জৈন আচার্য রামলাল মহারাজের কাছ থেকে দীক্ষা নেবেন তাঁরা। পারিবারিক ব্যবসায় রমরমা তো আছেই, তার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি কম নয় রাঠৌর পরিবারের। সেই সব টান ফেলে শুধু আধ্যাত্মিকতা টানে সংসার ছেড়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা।
নিমচ জেলার এই দম্পতির কাণ্ডকারখানায় হতবাক তাদের পরিবারের সবাই। কারণ শুধু সম্পত্তি ত্যাগ করার ঘটনা ঘটলে হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কিন্তু তিন বছরের ছোট্ট শিশুটিকেও ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নাড়িয়ে দিয়েছে সবাইকে।
বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে কেন এই দম্পতি সংসারধর্ম ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে ৷ পরিবারের সদস্যরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ৷ কিন্তু দীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে দু’জনেই অনড় ৷ আগামী বৃহস্পতিবার পরিবার ও সমাজকে ত্যাগ করে দীক্ষা নেওয়ার জন্য তারা গুজরাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলে জানা গিয়েছে ৷
সুমিত লন্ডন থেকে এক্সপোর্ট-ইমপোর্টে ডিপ্লোমা করেছেন ৷ দুবছর সেখানে চাকরি করার পর নিমচ ফিরে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন তিনি ৷ সুমিতের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে৷ তাঁর স্ত্রী অনামিকা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন৷ কিন্তু বিয়ের পর চাকরি ছেড়ে দেন তিনি৷ তাঁদের এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন উঠছে, তা তাঁদের সন্তানকে নিয়ে। মা-বাবার এই সিদ্ধান্তে পুরোপুরি একা হয়ে যাবে ইভ্যা। তবে তাতেও খুব একটা বিচলিত নন এই দম্পতি। তাঁদের সাফ জবাব, যাঁদের মা বাবা নেই তারাও পরিবারের মাঝে বড় হয়ে ওঠে৷ তাই তাঁদের সন্তানও সেই ভাবেই বড় হয়ে উঠবে ৷
বাচ্চাটির দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছেন তার দাদু-দিদা। কোনওভাবেই তাদের মেয়ে জামাইকে সিদ্ধান্ত থেকে সরানো যাবে না। তাই নাতনির যাবতীয় দায়িত্ব নিজেরাই নেবেন বলে জানিয়েছেন অনামিকার বাবা, অশোক চাণ্ডিল্য। সুমিতের পরিবার এই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন, কারণ মাত্র আটমাস বয়স থেকেই ইভ্যা বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা থাকে।