গোপালপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মির্জাপুর হাতেম আলী বিএল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে উঠেছে। এসব দুর্নীতি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে সোমবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে পল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে উভয় পক্ষ।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়নাল হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তালুকদার ইন্টারভিউ বোর্ডে তৃতীয় হন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটিকে বিপুল অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। এ জন্য স্কুলে যোগদানের পর স্টাফরা তাকে বয়কট করে ক্লাস বর্জন করেন।
তিনি স্কুল ক্যাম্পাসের দশ লক্ষ টাকার গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন ও জালিয়াতি করে দাতা কোটায় লোকমান হোসেনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করেন। তার যোগদানের পর শূণ্য পদে সাতজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গোপনে স্কুলের জমি কেনাবেচা করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ সব দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল করেন। যা যুগান্তরসহ কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে একই দিন স্থানীয় প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদা না পেয়ে বানোয়াট অভিযোগে তাকে হয়রানি করছেন। তিনি বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। সরকারি নিয়মনীতি মেনে ও অনুমতি সাপেক্ষে স্কুলের জরুরী প্রয়োজনেই জমি কেনাবেচা করে টাকা ব্যাংকে রেখেছেন। কোনো আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। স্বার্থান্বেষী মহল স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে জুতা মিছিল করানোর ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।