ঘাটাইলে ধর্ষক রহিজ উদ্দীনের আত্মহত্যা
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রহিজ উদ্দিন (অপু) আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতের যে কোন সময়ে তিনি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের শালিয়াবহ নয়াপাড়া গ্রামে গাছের ডালের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
রহিজ উদ্দিন অপু ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের শালিয়াবহ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর (চাটু মিয়া) ছেলে। তার একাধিক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তাদের বিয়ে দিয়ে রহিজ উদ্দিন এলাকাতেই বসবাস করতেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক রহিজ উদ্দিন (অপু) গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে উপজেলার শালিয়াবহ নয়াপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী পাতা কুড়াতে গেলে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরের দিন সোমবার তাকে একমাত্র আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার বাবা। পরে বিকেলে ওই ছাত্রী টাঙ্গাইল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শালিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অপুকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঘটনায় ধর্ষক অপু ধর্ষণের পর থেকে পলাতক অবস্থায় ছিলেন। ধর্ষণের এই নিকৃষ্ট ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে নিজের প্রতি রাগে, দুঃখে ও ক্ষোভে নিজ জীবনাবসান ঘটিয়েছেন বলে এলাকাবাসী ধারনা করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কুদরত আলী জানান, আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সরকারি বনের আকাশমনি বাগানে একটি আম গাছের ডালে রহিজ উদ্দিনকে গলায় মাফলার প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখতে পাই। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশ সদস্যরা এলাকাবাসীর সামনেই লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যান। ধর্ষণের ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছেন বলে তিনি জানান।
ঘাটাইল থানা পুলিশের এসআই মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লোকলজ্জার ভয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না বলে রহিজ উদ্দিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।