নতুন সিইসি নুরুল হুদার যোগ্যতা নিয়ে আসিফ নজরুলের প্রশ্ন
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
কে এম নুরুল হুদাকে বিএনপি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে আস্থায় নিয়ে তাকে দুইবার ডিসি করেছে। আর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তাকে ওএসডি করেছে। যদি জনতার মঞ্চের সাথে তার কোনো সম্পর্ক না থাকত তাহলে বিএনপি কেন তাকে ওএসডি করতে যাবে?
বুধবার রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে এই রকম মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, একটি মানুষ সারা জীবন কাজ করেছেন যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে। তার নাম প্রস্তাব করেছেন তরিকত ফেডারেশন এবং অন্য একটি দল।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটার কথা। এখন আমার যেটা মনে হয়, ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সাথে সকল দলের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এতো কিছু করা হয়েছে এই কারণে যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে এই দিকে যেন জনগণের দৃষ্টি না যায়।
রাষ্ট্রপতি করেছেন কিংবা সার্চ কমিটির মাধ্যমে হয়েছে এর থেকে বড় কথা হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন হওয়া বৈধ।
আসিফ নজরুল আরো বলেন, বাংলায় একটি কথা আছে, বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। আমরা যে ১০টি নাম পেয়েছিলাম যেই বৃক্ষ থেকে এই ১০টি নাম এসেছিল তাদের নিয়ে আলোচনা করতেই হবে।
যে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল সেখানে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ছাড়া অন্য কারো নিরপেক্ষ ভূমিকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।