নিরাপদ খাদ্যের জন্য জিহাদ ঘোষনা করেছেন : খাদ্যমন্ত্রী
ভূপাল চন্দ্র রায়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
এ সরকার নিরাপদ খাদ্যের জন্য জিহাদ ঘোষনা করেছেন। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স।
এ বিষয়ে কোন আপোষ নাই। বাংলাদেশে আর খাদ্যের অভাব
নেই, কিন্ত নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু
কন্যা শেখ হসিনার সেই বিষয়টি উপলব্ধি করেই নিরাপদ খাদ্যে জন্য
জিহাদ ঘোষনা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের স্থায়ী মঞ্চে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে পুষ্টিচাল বিতরণ উদ্বোধন কালে খাদ্য মন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের জনগণের জন্য দেশের
উন্নয়নের জন্য যত চিন্তা ও কাজ করছেন তা আর কোন সরকার প্রধান
করেননি বা করতে পারবেন না। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব
বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র বানানো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তারই কন্যা রাতদিন পরিশ্রম করে
যাচ্ছেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমার ভাবতে কষ্ট হয় আমরা ধান উৎপাদন করি, আর সেই ধান থেকে চাল তৈরী করে ভাত খেতে পারি না।
আমরা সেই চালকে সরু করে পুষ্টির অংশ ফেলে দিয়ে ভাত খেতে
অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অথচ আমরা ইচ্ছে করলেই পুষ্টিকর খাবার খেতে পারি।
কিন্ত সেই পুষ্টিকর অংশ ফেলে দেওয়ার কারণে আমাদেরকে
পুষ্টিচাল বিতরণ করতে হচ্ছে। আর আমাকে সেই পুষ্টিচাল বিতরণের
উদ্বোধন করতে হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে
উদ্বোধনী সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক
জনাব মোঃ আরিফুল হক, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর প্রোগ্রাম প্রধান জনাব
মোঃ রেজাউল করিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোঃ মাহফুজুল আলমের
সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা
পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব মোঃ আমিনূল কবির, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবেদ হোসেন মিলন।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৭শ ৫৪জনকে প্রতিমাসে ১০টাকা দরে ৩০ কেজি করে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে পুষ্টিচাল বিতরণ করা হবে।