সেলিনা জাহান প্রিয়া’র ছোটগল্প- নীরব ঘাতক
নীরব ঘাতক
—–সেলিনা জাহান প্রিয়া
মেয়েটির নাম কাজল এ যেন গরিবের ঘরে চাদের আলো। বয়স আর কত পনের কিন্তু এ বয়সে সে সবার চোখে পড়ার মত মেয়ে। এ বছর ক্লাস নাইনে পরে। কাজলের একমাত্র ছোট ভাই সাত বছরের তনু সারা দিন বোনের সাথে ঝগড়া লিগেই থাকে। কাজলের মা আছে কিন্তু বাবা থেকেও না থাকার মত।
কাজলের মামারা কাজলদের বেশির ভাগ দেখা শুনা করে। এখনো কাজলের বাবার ভিটায় থাকে। কজল খুব শান্ত মেয়ে। স্কুলে বিনা বেতনে পড়ে। ভাল ছাত্রি আর উপ বৃত্তি টাকাও পায়। কাজলের মায়ের খুব সখ মেয়ে যদি এস এস সি পাশ করে তবে তাকে নার্সিং এ ভর্তি করে দিবে। পাশের একটা রাইস মিলে কাজ করে কাজলের মা। শরীর টা ভাল না কয়দিন যাবত কাজলের মায়ের। তাই কাজে যেতে পারে নাই। রাইস মিলের মালিক বাতেন মিয়া আবার খুব খেয়াল করে কাজলের মাকে। কারন সে খুব পরিশ্রমী ও কাজে ফাকি দেয় না। ঈদেরর দিন গুলোতে বা বিশেষ দিনে কাজলের মা আবার বাতেন সাহবের বাড়িতে কাজ করতে যায়। বাতেন সাহেবের স্ত্রী কাজলের মা মানেই শান্তি। কাজলের একটা ছোট ভাই আছে নাম তনু।
রাতে কাজল আর তনু পড়ছে এমন সময় তনু বলে আপু
… তুমি এত পড় কেন তোমার জন্য আমাকেও বেশি পড়তে হয়।
… আমার বেশি পড়া তাই বেশি পড়ি।
— তাহালে বলছ আমার কম পড়া। ওকে আমি উঠছি।
—- কাজল তনুর চুল ধরে বলে ফাকি বাজি। আমার সাথে সাথে পড় বলছি।
—- তোমার সাথে পড়ে কি হবে বলত কাজলা দিদি। মা বলেছে তুমি নার্স হবা। আমি ছেলে। মা বলেছে ছেলেরা নাকি নার্স হয় না।
—- তাহালে তুই কি হবি তনু
—- ট্রাক ড্রাইভার হবো আপু।
—- এটা হলে কি হবে?
— কি হবে মানে? তাহালে মাকে আর ট্রাক থেকে ধান নামাতে হবে না। আমি দেখিনা সবাই ট্রাক ড্রাইভারে ওস্তাদ বলে ডাকে। আর তোমারে বিয়া দিলে আমি গাড়ি নিয়া আনতে যাব তোমাকে। আর সবাই কইব তুমি ওস্তাদের কাজলা দিদি বোন।
কাজল ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলে আমার লক্ষ্মী ভাই যাও আর পড়তে হবে না। কজলের মা ও হাসে ছেলের কথা শুনে। বলে আল্লাহ্ তোমার আশা পুন্য করুক। অনেক সুন্দর গাড়ি যেন চালাইতে পার বাবা তুমি।
কাজলের মাকে ডেকে বাতেন সাহেব বলল–শুনছ কাজলের মা কালকে আমার মেয়ে কে দেখতে লোক জন আসবে। সুনলাম তোমার কাজল হাতে খুব সুন্দর মেহেদি দিতে পারে। তোমার ছেলে মেয়ে কে নিয়া কালকে সকালে আমার বাড়িতে চলে আইস। তোমার ভাবী কিন্তু তোমার অপেক্ষা করবে।
করিম গঞ্জ বাজার থেকে বাজার সদাই করা শেষ। আর লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মিষ্টি এনেছি। আর তোমার কাজলে মদল গোপালের মলাই খুব পছন্দ করে আমার মেয়ে বলেছি তাও আনতে বলেছি। কাজলের মা বলে ভাই জান আমার ছেলে মেয়ে তো আপনাদের দয়ায় খুব ভাল আছে। আচ্ছা ভাই জান ভাই সব কে কইন জ্যা আমি সময় মত চলে আসব কাজল কে নিয়ে। আরে কাজলের মা একটু আগেই চলে এসো। আর তুমি যাওয়া মানে তোমার ভাবির হাই প্রেসার লো হবে। কাজলের মা বলে–ভাই জান সকালেই আসব, ভাবীকে চিন্তা করতে মানা কইরেন।
খুব সকালে কাজল আর তনু কে নিয়ে কাজলের মা চলে আসে বাতের সাহেবের বাড়ি। কত কাজ করছে মা কাজল চেয়ে চেয়ে দেখছে মায়ের কষ্ট। কিন্তু কাজল লক্ষ্য করল বাতের সাহেবের মেয়ে আজ কে কাজল কে বেশি একটা পছন্দ করছে না। কারন কাজল দেখতে তার চেয়ে অনেক সুন্দর। তনু বলল–আপু চল আমারা আমাদের বাসায় যাই। এখানে ভাল লাগে না। এমন সময় একটা ছেলে পিছন থেকে তনু কে বলল–
কি নাম তোমার- আমার নাম তনু
সাথে কে তোমার–আমার বোন কাজল আপু
বা দারুণ তো চাদের আলোর নাম কাজল
এই মেয়ে এত সুন্দর নাম কে রাখল? কাজল এই দিকে আসো আমি বাতেন সাহেবের ছেলে। আমার নাম রাজিব
— সালাম নিবেন ভাইজান
— হুম নিলাম কোথায় বাড়ি
— আপনাদের রাইস মিল থেকে একটু সামনে
— হুম কি কর তুমি কাজল?
— আমি ক্লাস নাইনে সাইন্সে পড়ি আর আমার মা হলেন ঐ যে উনি।
— রাজিব আর বুঝতে অসুবিধা হল না যে সে খুব গরিব ঘরের মেয়ে।
রাতে মায়ের সাথে কাজল আর তনু বাসায় ফিরল। সারা রাস্তা তনু বলল ঐ বাড়িতে রাজিব ভাই অনেক ভাল। আমাকে অনেক আদর করেছে। কাজলের মা বলল- রাজিব ছেলেটা বাপের মত ভাল হয়েছে। কাজল হাসতে হাসতে বলল মা আসলেও ছেলেটা ভাল কি সুন্দর করে কথা বলে। আমাকে বলল–শুন কাজল আমাকে লজ্জা পাবে না। লেখা পড়ার কোন কিছু লাগলে আমাকে বলবে। প্রায় স্কুলের আশা যাওয়ার পথে কাজলের সাথে দেখা হয় রাজিবের। মাঝে মধ্য কথা হয়। রাজিব ধীরে ধীরে কাজল কে বুঝতে লাগল ধনি গরিব সব মানুষ সমান। এক বছরের মধ্য রাজিবের প্রেমে পরে গেল কাজল। দিনে দিনে দুজনের প্রেমের গভীরতা বাড়তে লাগলো। কাজলের মা অনেক রাত পর্যন্ত রাইস মিলে কাজ করে। প্রায় পড়ানোর জন্য আসে রাজিব। তনু খুব খুশি হয় রাজিব আসলে কারন তনুর জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসে রাজিব।
বিকাল থেকে বৃষ্টি পরছে সন্ধ্যায় রাজিব আসছে কাজলের বাসায়। অন্য দিন অবশ্য পড়ার টেবিলে তনু থাকে আজ কিন্তু তনু ঘুমাচ্ছে। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে বিদ্যুৎ নাই। হারিকেনের আলো জলছে রাজিব কাজলের হাত ধরে হালকা আদর করছে। এক সময় আর কাজল নিজেকে সামলাতে পারলো না। রাজিব ভালবাসার ছলে পেয়ে গেল কাজলের শরীর। কাজল বিশ্বাস করল রাজিব কে। কিন্তু তিন মাসের এই কাজল অনুভব করল যে সে কনসিপ করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে বমি হচ্ছে। মেয়ের শরীর যে খারাপ মা একটু একটু টের পাছে কিন্তু কি হয়েছে সে জানে না।
রাজিব কে কাজল খুলে বলল যে সে গর্ভবতী এ কথা শুনে রাজিব বলল–
— বল কি? কাল সকালে আমার সাথে চল কিশোর গঞ্জ সদরে একটা ক্লিনিকে এখন বাচ্চা রাখা যাবে না।
—কাজল বলল-শুন রাজিব এটা কেমন কথা। তুমি না বললে আমি যখন চাইব তখনই তুমি আমাকে বিয়ে করবে।
— কাজল পাগলামি কর না। সামনে আমার অনার্স পরীক্ষা। একটা বাচ্চা নষ্ট করলে কিছু হবে না।
— না রাজিব আমার জীবন থাকতে আমি বাচ্চা নষ্ট করব না। এই কথা শুনা মাত্র রাজিব কাজলের গালে চর মারে আর বলে-
সব ছোট লোক এক যাতের। যাও আমার কথা না শুনলে কিন্তু তোমার ক্ষতি হবে। আমার বাবা হয়ত আমাকে বকাঝকা করবে। কিন্তু এমন খারাপ মেয়ে কে কি মেনে নিবে? আর এ বাচ্চা যে আমার তার কোন প্রমান তোমার কাছে নাই। এই বলে রাজিব চলে যায়, দূর থেকে ছোট তনু দেখল যে বোন কাঁদছে। তনুও বুঝতে পারলো যে আমার বোন কোন কষ্ট পেয়েছে। তনু বোন কে জড়িয়ে ধরে বলল– আপ্পু কান্না করনা। আমি বড় হয়ে রাজিব কে অনেক মেরে দিব।
সারা রাত কান্না করল কাজল। ভাবতে লাগলো সে তার মাকে ঠকিয়েছে। মায়ের আশা নষ্ট করেছে। সবাই যদি জানে কি ভাবে মুখ দেখবে সমাজে। মামারা কি মনে করবে।
ফজরের আজান মসজিদ থেকে ভেসে আসছে। কাজলের মা নামজের জন্য ঘুম থেকে উঠে মেয়ে কে ডাক দিচ্ছে – কি রে মা কাজল ঘুম থেকে উঠ। কিন্তু কোন শব্দ নাই। মা কাজলের ঘরে ডুকে ও আমার আল্লাহ্রে বলে একটা চিৎকার দেয়।
কাজল আর নাই। চাদের মত কোমল শান্ত সুন্দর মেয়ে গলায় ফাস নিয়েছে।
সকাল বেলায় আশপাশের সবাই এলো। গরিবের মেয়ে চেয়ারম্যান ও বাতেন সাহেব বলল হয়ত কোন অভিমানে সে ফাসি নিয়েছে। কাজলের মা বোবা হয়ে রইল। থানা ম্যানেস করে চেয়ারম্যান সাহেব আর বাতেন সাহেব কাজল কে মাটি দিল। চেয়ারম্যান বলল বাতেন সাহেব আপনার ছেলে কিন্তু আসা যাওয়া করত। বাতেন সাহবে বলল চেয়ারম্যান আপনি ম্যানেজ করেন। টাকার চিন্তা করবেন না।।
তনু বোনের সাদা খাতায় একটা পুতুলের আঁকা ছবি দেখলও। আস্তে আস্তে সময় গড়িয়ে অনেক দূর সবাই ভুলে গেছে কাজল কে। সাত বছরের তনু এখন ২১ বছরের যুবক। লিখা পড়া তেমন করতে পারে নাই। গাজীপুর তুরাগ পরিবাহনে হেল্পারি করতে করতে এখন পাকা ড্রাইভার। তনু বাড়িতে আসলেই বাতেন সাহেবের বাড়িতে যাবে। রাজিব কে দেখে একটা হাসি দিয়ে পা ছুঁয়ে ছালাম করে কিছু কথা বলে বিদায় নিবে। এখন রাইস মেইল দেখা শুনা করে রাজিব। তনু আজো রাজিব কে দেখতে আসছে।
রাজিব কে দেখে লম্বা একটা সালাম দেয় তনু।
—কেমন আছেন রাজিব ভাই
— আরে তনু যে ভাল আছিস তুমি?
— আমি আপনার দোয়ায় ভাল। রাজিব ভাই আমি জীবনে ছোট বেলায় যে আদর পেয়েছি সেটা আপনার কাছ থেকে। আপনার মতো ভাইয়ের দোয়া আছে বলেই আমি আজ এক জন ভাল ড্রাইভার।।
—- রাজিব তনু কে কাছে বসায়
—- তনু দেখলও যে রাজিব একটা মাইক্রো কিনেছে। তনু বলল রাজিব ভাই আমি কিন্তু তিন বছর মাইক্রো চালাইছি। যদি কোন দিন ড্রাইভার চাকরি দেন আমাকে কিন্ত নিবেন। আপনার কাছে থাকলে আমি কিন্তু ভাল থাকব। তা ছারা নিজের গ্রামে থাকলাম আপনাদের সেবা করলাম। ঠিক মাস ছয়েক পড়ে রাজিবের ড্রাইভার চলে যায় ঠিক তখন তনুর চাকরি ঠিক হল রাজিবের গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে। তনু গাড়ির খুব যত্ন নেয়। তাছারা রাজিবের সব কাজ ও হুকুম ঠিক মত পালন করে তনু। রাজিবের স্ত্রীও তনুকে খুব আদর করে। কিছু দিন আগে রাজিবের বোন ক্যান্সারে মারা যায়। বাতেন সাহেবের একমাত্র ওয়ারিশ এখন রাজিব। রাজিবের স্ত্রীর বড় ভাই রাঙ্গামাটি ফরেস্ট অফিসার। রাজিবের স্ত্রী গর্ভবতী পাঁচ মাসে পরেছে তাই ঠিক করল রাঙ্গামাটি যাবে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে। রাজিবের স্ত্রী এখন তাঁর মায়ের বাড়িতে। তনু জঙ্গল বাড়ি রাজিব কে আর স্ত্রী কে গাজীপুর কাপাসিয়া থেকে নিয়ে রওনা দিল রাঙ্গা মাটির পথে। কুমিল্লা আর চিটাগাং এসে টাইগার পাঁশে একটা হোটেলে দুপুরের খাবার খেল। তনু গাড়ি চালাছে এখন গাড়ি ঠিক বেতবুনিয়া পারি দিয়ে আরও সামনে যাচ্ছে। চার দিক অনেক বড় বড় পাহার আঁকাবাঁকা আর উচু নিচু রাস্তা। চার দিক সবুজ আর সবুজ। রাজিব ও তার স্ত্রী অবাক হয়ে দেখছে পাহার। গাড়ি চলছে পাহাড়ের চুড়ার দিকে আঁকা বাকা হয়ে।
এমন সময় তনু বলল একটা কথা বলি রাজিব ভাই?
— হ্যাঁ তনু বল কি বলবি?
— আল্লাহ্ মানুষ কে তার সব আশা পুন্য করে জানেন।
— হ্যাঁ জানি তনু এটা আল্লার মেহের বানী। তোমার কি আশা পুন্য হল শুনি তনু।
— এই যে আপনার কাছে থাকা। চাকুরি করা। আপনার গাড়ী চালানো। আমার কত বড় কপাল। আমার মা আপনাদের কাজ করে গেছে সারা জীবন। এখন আমি করছি। এটাই আমাদের ভাগ্য।
—- এটা তোমার সততার জন্য তনু। তুমি ভাল ছেলে।
—- হ্যা রাজিব ভাই। তবে একটা কথা বলি? আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়তাম তখন কিন্তু আপনি অনেক সুন্দর ছিলেন। তাই নয় কি রাজিব ভাই।
—- হ্যাঁ পনের ষোল বছর আগের কথা।
— তনু বলল ভাবী জানেন। রাজিব ভাই কিন্তু আমার বোন কে পড়াত!
—- তাই নাকি তনু তুমি আগে তো বলনি।
—- থাক ঐ কথা তনু রাজিব বলল।
— না না রাজিব ভাই আপনি ভয় কইরেন না। আমি শুধু আজ একটা কথা বলব– রাজিব ভাই আপনাকে
— কি কথা তনু রাজিবের স্ত্রী বলল? রাজিব বলল অন্য সময় শুনব তনু।
—রাজিব ভাই এ রাঙ্গামাটির সব রাস্তা আমার চেনা। আগে হানিফ পরিবহনে কিছু দিন হেল্পারি করেছি। আজ আমার কথা তো আপনাকে শুনতে হবে। রাজিবের স্ত্রী বলল কি কথা তনু বল শুনি।
ভাবী রাজিব ভাই আমার বোন কে খুব ভালবাসত। আমার অবুঝ বোন টা নার্স হতে চেয়ে ছিল কিন্তু রাজিব ভাই এর জন্য হল না।
— এ সব কি বলছ তুমি তনু। রাজিব চিৎকার করে বলল তোমার মাথা ঠিক আছে।
—তনু হাসতে হাসতে বলে রাজিব ভাই চিৎকার করে লাভ নাই। গাড়ি আমি চালাই আপনি না। আপনি ভুলে যেতে পারেন, কারন আপনাদের টাকা আছে। সত্য বলুন না হয় এই গাড়ি নিয়ে আমি পাহাড়ের উপর থেকে ছেরে দিব।
— তনু কোন রকম পাগলামি কর না। আমার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট।
—তনু চিৎকার করে বলল কুত্তার বাচ্চা সেই দিন আমার বোন ও প্রেগন্যান্ট ছিল। তুই তাকে বিয়ে করিস নাই। তোর জন্য আমার কাজলা দিদি গালায় ফাস নিয়েছিল। আজ তোর স্ত্রী প্রেগন্যান্ট খুব মায়া লাগছে তাই না। আমার ও আমার বোনের জন্য সেই দিন মায়া লেগেছিল। রাজিব মিয়া আমি কিন্তু আমার বোনের সেই ঝুলন্ত লাশ আজো ভুলতে পারি নাই। রাজিব বলল তনু আমাকে আমকে মাপ করে দাও আমি তখন বুঝতে পারি নাই। তনু চিৎকার দিয়ে বলল রাজিব ভাই আমিও আজ বুঝতে পারছি না হা হা হা বলে–চলন্ত অবস্তায়
নোহা মাইক্রো গাড়িটা উচু পাহারের উপর থেকে ছেরে দেয় তনু।
একদম ছিটকে গাড়িটা পড়ে যেতে থাকে নিচের দিকে। হাজার হাজার ফিট ঢালু নিচুতে পড়তে থাকে পাহাড়ে সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচের দিকে পরতে থাকে পরতে থাকে। এই গাড়ির রাজিব ও রাজিবের স্ত্রী মারা যায়। তনু পাহাড় থেকে লাফ দেয় তাঁর একটা হাত ভেঙ্গে যায়, মাথা কেটে যায়। ১০ দিন পড়ে রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে ছারা পেয়ে নিজ গ্রামে আসে। বাতেন সাব ছেলে আর ছেলের বউয়ের কথা শুনে বাকহীন হয়ে যায়। তনু বোনের কবরের সামনে এসে বলে কাজলা দিদি আমি পড়েছি। পাস করেছি। আর তনুর চোখ দিয়ে বোনের জন্য পানি ঝড়তে থাকে দু চোখ দিয়ে।
সবাই জানে এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র কিন্তু আসল ঘটনা আজও কেউ জানে না।
বিঃদ্রঃ – এটা একটা কাল্পনিক গল্প মাত্র। কারো জীবনের সাথে মিশে গেলে লেখন দায়ী নয়।