পথে প্রান্তরে হোঁচটে হিরন্ময়

 

 

পথে প্রান্তরে হোঁচটে হিরন্ময়
আওলাদ হোসেন

পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করার পর সব মানুষই জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে হোঁচট খায়। প্রথমে চিন্তা করে পৃথিবীতে তার অবস্থান কোথায়? এবং দেখে সে মনুষ্যকূলে জন্ম গ্রহণ করেছে, এতে সে আনন্দিত হয়। অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে মানুষের মর্যাদা অনেক উপরে। তারপর দেখে সে স্বাধীন কি না। যদি স্বাধীন দেশের অধিবাসী হয় তাহলে মনে আনন্দ পায়। স্বাধীন সত্ত্বা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। যখন সে যৌবনে পদার্পন করে তখন দেখে সে ৩য় বিশ্বের অনুন্নত দেশের গরীব জনগনের দলে, তখন একটু হোঁচট খায় ভাবে অনুন্নত দেশের বাসিন্দা হওয়াতে পরা শক্তিরা কত উপদেশ দিয়ে থাকে এবং শোষন শাসন নানা তর্কবিতর্ক জোরা দেয়। উপরন্ত এখন আর দেশ জয় করতে হয় না। প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীতে অনেক কায়দা কানুনের মাধ্যমে জনগনকে দাবিয়ে রাখা যায়। তারপর আসে পারিবারিক অবস্থান। এখনেও পৃথিবী দেশ পরিবার একইভাবে বিভক্ত হয়ে সর্বশেষ নিজের অবস্থান ঠিক করে নেয়। এই চক্রের সর্বশেষ ধাপটি হচ্ছে কে কাকে কত ভাবে মোসাহেবী করে নিজের প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে। মানুষ এই সমস্ত উন্নত দেশ ও অনুন্নত দেশের ধান্দায় নিজেকে হারিয়ে ফেলে এবং স্ব শিক্ষা লাভ করে তাতে বড় জোর কেরানি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে যা দিয়ে নিজের জাতিকে আরো নিষ্পেষিত করতে পারে। এটাকেই ইংরেজ আমলে উড়ধহধিৎফ ঋরষঃৎধঃরড়হ বলা হয়েছিল। মানুষ নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ হারায়, উন্নত দেশের লোকেরা যা করে তাই করার চেষ্টা করে এবং ভুলে যায় দুনিয়াতে কিভাবে এসেছে, কি তার পরিনতি আর এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি? মানুষ প্রথমেই হোঁচট খায় আকাশটা কোথায় গিয়ে থেমেছে! এর কোন উত্তর খুঁজে পায় না, কোন পুস্তকেও এ ধরনের কথার কোন উত্তর দেয়া নাই। তারপর হোঁচট খায় মানুষ সৃষ্টি হোল কিভাবে? এর কোন উত্তর খুঁজে পায় না এবং কোন পুস্তকেও এ সম্বন্ধে কিছু লিখতে পারে নাই। বৈজ্ঞানিকরা মানুষ সৃষ্টির কোন সন্ধান পায়না, জন্ম মৃত্যু নিয়েও কিছু বলতে পারে না। পূর্বেরা যা বলেছে ও করেছে তা বর্তমান কম্পিউটারের যুগে সব অচল হয়ে গেছে। গ্যালাক্সির হিসেবে যে দূরত্বের হিসেব টানা হয়েছে তাকে অট বলা হয়ে থাকে। এটাকে পৃথিবী থেকে সূর্যর দূরত্বকে একক (টহরঃ) হিসেবে ধরা হয়েছে। আর কত ট্রিলিয়ন তারকারাজী দিয়ে আকাশটি সাজানো হয়েছে তার হিসাবও গুনে শেষ করা যায় নাই। অতএব অতি সামান্য আয়ূ সম্পন্ন মানুষের পক্ষে স্থির কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো একেবারেই অসম্ভব। গবেষনা চলছে। মানুষ সৃষ্টির বিষয়টি প্রথমেই হচ্ছে আর্দে খলিফা প্রেরণ। এখানে আল্লাহ পাকের কাছে হও বল্লেই হয়েছে বটে, আদম (আ:) কে বিভিন্ন বস্তুর নাম বলতে বলা হলে তিনি সবই বলে দেন হতে পারে এটাকেই বলা হয়েছে ইন্নি আলামু মা লা-তায়ালামুন। এখানে মানুষের করার বা বুঝার কিছু আছে বলে মনে করি না। একজন মানুষকে বানানো হবে কিন্তু এর কল-কব্জা কি হবে তা কোন মানুষকে চিন্তা করতে পারে? অথবা চিন্তা করার কোন প্রয়োজনই নাই। হতে পারে জানিনা, আল্লাহ জানেন অথবা প্রাকৃতিক। নির্ভুল মানুষ সৃষ্টি যে সমস্ত বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত তার নাম সমূহ সংক্ষেপে বলে নেয়াই ভাল। দৈহিক বাহ্যিক গঠন হচ্ছে মাথা, মুখ মন্ডল, চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা বক্ষ হস্ত পদ ইত্যাদি। কিন্তু দেহের সংগে মনের যে সংযোগ ঘটানো হয়েছে তা যে কি বস্তু তা দেহের কোথাও নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা যায় না, খুঁজে পাওয়া যায় না, এটাকে অদৃশ্যে বিশ্বাস করতে হবে। এটাই স্রষ্টার সৃষ্টির সব কিছুর ধারনাকে পাল্টে দিয়েছে, অজ্ঞাত করে রেখেছে এবং কোন ক্রমেই পৃথক করা যাচ্ছে না। স্রষ্টা তাঁর নিজের অবস্থানকেও অদৃশ্য, অজ্ঞাত, অকল্পনীয় করে রেখেছেন। সবই পাওয়া যায়, দেখা যায় কিন্তু তাঁকে পাওয়াও যায় না, দেখাও যায় না। মৃত্যুর সময় মানুষ দেখতে পায় কোথায় ছিলাম কোথায় এলাম এবং অন্য সব কিছু একে অস্বীকার করার উপায় নেই। যে বন্ধন তা থেকে মুক্ত হওয়ার কোন পথ নেই। মানুষ কোন ভাবে তার দেহটি নিয়েই প্রথমে ভাবতে হয় এত নিয়ম এলো কোথা থেকে? পরকালের মানুষকে হয়তো এত নিয়ম নিয়ে চলতে হবে না এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভই হবে বড় কথা, তা ছাড়া কিছু চিন্তা করা নিষেধ। তাহলে দুনিয়ায় মানুষের মধ্যে এতো কিছু সংযোজন হলো কিভাবে কেন? শিশুদের এসব বিষয়ে শিখতে দিতে হবে। প্রথমে সার্কুলেটরী সিস্টেম, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম, স্কেলিটাল সিস্টেম, রেসপিরেটরী সিস্টেম, ইউরিনারী সিস্টেম ইত্যাদির সংযোগ কেন ঘটালেন? এ সমস্ত না ঘটালেও কি স্রষ্টা পারতেন না? অবশ্যই পারতেন, যা পরকালে সম্ভব হবে এবং দেখানো হবে।
মানুষ সৃষ্টির পর তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হবে, তাহলে পৃথিবীতে যে পরিবেশ, যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্থাপন করতে হবে যে সমস্ত খাবার পানীয় ইত্যাদি দেওয়া হবে তার ব্যবস্থা করা হলো তা আমরা সহজেই দেখতে পাই। এটাকে বলা হয়েছে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনায়ন করা। বৃহৎ পৃথিবীটির জন্য আলো এবং তাপের যে প্রয়োজন হবে তার জন্য সূর্য স্থাপন করা হলো এবং রাত্রে আলোকিত হওয়ার জন্য চন্দ্রকে স্থাপন করা হলো। এখন মানুষ এই পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে কেমন হবে মানুষের পক্ষে তা অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে পৃথিবীতে সব কিছু দেয়ার পর মানুষকে যে জ্ঞান দেয়া হলো এটাই হচ্ছে এখানকার পরিচালিকা শক্তি। “রাব্বি জিদনি এলমা।” এখন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রথমেই খাবারের প্রয়োজন হবে। এজন্য রয়েছে মুখ। মুখ দিয়ে পানি গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত নদী নালা খাল-বিল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এর উৎস হচ্ছে বৃষ্টির পানির যে চক্রতা আমরা পড়েছি। সমুদ্র, মেঘের সঞ্চার, পাহাড়ে বরফের সৃষ্টি এবং তা থেকে ঝর্না ধারা ও পানির প্রবাহ অপর দিকে বায়ুর প্রবাহ এবং প্রত্যাগমনে ঝড় বৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহ সৃষ্টি ইত্যাদি। এখন মুখ দিয়ে খাবার গ্রহনের পর ডাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার জন্যে সব রকম ইঞ্জিনের ব্যবস্থা দেহের মধ্যে করা হয়েছে এটাকে এনাটমিক্যাল অর্ডার বলা হয় যেমন মাথা, বক্ষ এবং নিম্নাঙ্গ। পাকস্থলী হচ্ছে ডাইজেশনের প্রথম স্তর, এখানে কিভাবে হজম হবে তার জন্য কত সমস্ত গ্লান্ড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে যা অত্যন্ত সূক্ষ্ম করুকার্য যথা প্যান ক্রিয়াস, ঝঢ়ষববহ, থাইরয়েড ইত্যাদি। প্রতিটি প্রয়োজনে দেহের ভিতরে যে কঠিন অবস্থা পার হতে হয় তাকে আমরা চিন্তা করে শেষ করতে পারব না এখানে রয়েছে ইনটেস্টাইন, কিডনী রেকটাম লাংস, হার্ট জয়েন্টস হাত পা, চক্ষু, কনজাঙ্কটিভা, কর্নিয়া, আইলিডস, আইরিস, লেনস, পিউপিল, রেটিনা, কর্ণ মাধ্যকর্ণ বক্ষ স্টার্নাম, রিবস, কাটিলেজ, এ্যাবডমেন, লাম্বার, স্ক্যাপুলা, ঝঢ়রহব থোরাসিক ব্লাডার ইরেথ্রা, রক্ত ভাসেল, সার্কুলেশন, ভেইনস, হাড়, ব্রেস্ট, ব্রেডিং রি-প্রোাডাকটিভ সিস্টেম- মেল-ফিমেল, ওভারিস, সেক্স, ইটেরাস, পেনিস, স্ক্রট্রাম, মুখ-নেক, নার্ভস, পেলভিস, বাটক, ককসিক্স, সেকরাম, পার্সপিরেশন, স্কীন, টিথ, টাং ইত্যাদি। এসবই মানুষের জীবন ধারনের জন্য অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত! অথচ পানি পান করলে যদি পিপাসা মেটানো ছাড়া ক্ষুধার কাজ করতো তাহলেই সব কিছু অচল হয়ে যেত, কিন্তু স্রষ্টা সে সুযোগ দেননি। এজন্যে পৃথক ব্যবস্থা শর্করা জাতীয় খাবার, আমিষ জাতীয় খাবার ইত্যাদি। শক্ত খাবার, তরল জাতীয় খাবার, ফল-মূল ইত্যাদি, দেহ ধারনের জন্য সব ব্যবস্থা করাই আছে। এখন দেহের ভিতরে যে মন তাতো দেখা যায় না। এটাকে অস্বীকার করাও যায় না। এখানে বিদ্যা ও বুদ্ধির পরিচয়-হ্যাঁ/না কোনটি নিবেন। এখানে স্রষ্টা অদৃশ্য তার সৃষ্টি মানুষের আত্মা অদৃশ্য আল্লাহর আদেশে যেমন সব কিছু হয়, মানুষের দেহের ভিতরও আত্মার আদেশে সব কিছু হয় অথচ দেখা যায় না, কিন্তু কেন? এই কেন এর উত্তর দেয়ার জন্যই এত চিন্তা ভাবনা এত সব যুদ্ধ বিগ্রহ। জগতে আত্ম প্রতিষ্ঠা লাভের যে কসরত তাতে মানুষের ইচ ্ছা শক্তি যে দাম্ভিকতার পরিচয় দেয় দেহতন্ত্রের যে কমপ্লেক্সিটি তা কি তার চেয়ে কম? কত ভঙ্গুর একটু চিন্তা কারলেই বুঝা যায়, দেহটি কত সমস্ত জিনিস দিয়ে তৈরী তাহলে সেই স্রষ্টার একমাত্র প্রধান কাজ বলে মনে করি। দেহের খোরাক যেভাবে মিটানো হয় আত্মার খোরাকও মিটানো প্রয়োজন। তাহলেই স্রষ্টার সৃষ্টির ঐক্য ও যোগ সূত্র দেখানো হয়েছে তার স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব এ জন্যে আল কুরআনের অনেক নির্দেশ পালন করাই ভাল। আমার লেখা এখানেই শেষ। যে কারুকার্য দিয়ে মানুষ সৃষ্টি (বিস্তারিত পরে) সেই কারুকার্য দিয়ে বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি একটির সংগে অপরটির কোন মিল নেই, এমন কি একজন মানুষ অপর জন মানুষের মত নয়, তবুও সবাই মিলে এক এবং এক স্রষ্টার অধীন। প্রমান হচ্ছে “কিরূপে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী ক রছ? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন। তারপর তিনি প্রাণ দান করলেন তোমাদের, আবার তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুনরায় তিনিই তোমাদের জীবন দান করবেন। পরিনামে তাঁরই সমীপে তোমারা উপস্থিত হবে।” আল্লাহ পাক মানুষকে যা দিয়েছেন তাকে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে যাকে ভাল গলা দিয়েছেন সে গান গেয়েই নাম করছেন, যাকে সাহিত্যের জ্ঞান দিয়েছেন সে তাই নিয়ে আছেন, কেউ দরিদ্র অসহায়, কেউ আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকায় বাস করে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি বাঙালি একটি চোখ জুড়ানো, দৃষ্টিনন্দন, অবিশ্বাস্য জোটবদ্ধ শক্তি যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। এদের ধর্মীয় মূল্য বোধ, সামাজিকতা, অনুন্নত দেশের হয়েও মান মর্যাদা, আত্ম সচেতনতা, জন্ম স্বাধীন, অকুতোভয় আর যে কোন বিষয়ে একাত্তা প্রকাশ এবং পাশে দাঁড়ানো সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া, ইতিহাস ঐতিহ্য স্মরন করিয়ে দেয় বিদেশীদের কোন চক্রান্তই এখানে কার্যকর হতে পারে ননি। জুলুম, ভয়-ভীতি, সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু সর্বশেষ ফলাফল অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ও পজেটিভ। আর ষোল কোটি মানুষের জন্য এটাই একমাত্র গর্বের বিষয়। তবে এর উল্টা দিকও আছে যার জন্যে স্রষ্টার বাণী হচ্ছে-‘বলুন-হে আল্লাহ্! তুমিই মালিক সার্বভৌম শক্তির। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নাও, যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত কর এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত কর। সকল কল্যাণ তোমারই হাতে। নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।” অথচ আমাদের আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকে গেলে আর কিছু করার থাকে না এবং বিপদে পড়তে হয়। তবে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে পড়ে এবং জন নন্দিত নায়কে পরিণত হয়। এটাই স্রষ্টার খেলা। সূর্যের তাপ সর্বত্র সমান ভাবে দেয়া হয় এখানে কোন পক্ষ পাতিত্ব করা হয় না, কারো হুকুমে এটাকে বন্ধ রাখা যায় না, স্তব্ধ করা যায় না, যায় না অন্ধকারে ঢেকে দেয়া। অপর দিকে চন্দ্র সুশোভিত আলোকিত মনে সৌন্দর্যের যে ঝংকার উঠে তাকেও কলঙ্কিত করা যায় না, প্রানের উচ্ছাসকে বাধা গ্রস্থ করা যায় না। প্রকৃতির এটাই শাশ্বত রূপ যা যৌবনেই মানায় ভাল আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস এনে দেয়। যৌবনা, ষোড়শীদের টানে সবাই মাতাল হয়ে যায় আর পরীক্ষায় ফেল করে। গল্পের এখানেই শেষ। বাস্তবতার আলোকে স্রষ্টা ভিতরে ও বাহিরে অবস্থিত। আর মানুষ প্রকৃতির ঊর্দ্ধে উঠতে পারে না প্রকৃত জ্ঞানের অভাবে। গড়াপেটা আল্লাহ পাকের কাজ। সমুদ্রের পানি পাহাড়ে যায় পাহাড়ের পানি সমুদ্রে যায় পথে প্রান্তরে হোঁচটে হিরন্ময়। প্রতিযোগিতাই প্রতিভা বিকাশের একমাত্র পথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!