পাবনা র্যাব কর্তৃক মানব পাচার কারীর ০২ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ও ০২ জন ভিকটিম উদ্ধার।
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
অদ্য ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ তারিখ রাত্র ০৫.২০ ঘটিকা সময় র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পের আভিযানিক দল কৃর্তক ভারপ্রাপ্ত কোম্পানাী কমান্ডার মোঃ আমিনুল কবীর তরফদার (সহকারী পুলিশ সুপার) এর নেতৃত্ত্বে পাবনা জেলার সদর থানাধীন পৌলানপুর সাকিনস্থ সবেদার বাগান হতে মানব পাচারকারীর ০২ জন সক্রিয় সদস্য ১। মোছাঃ শিমু শেখ (৩২), পিতা- মোঃ হানিফ, সাং- হোল্ডিং নং-৯৩, সপুরা (মিয়া পাড়া), থানা- বোয়ালিয়া, জেলা- রাজশাহী, ২। মোঃ আব্দুল ওয়াহাব (২৬), পিতা- মোঃ দেলোওয়ার হোসেন, সাং- কানায়খালি চৌধুরী পাড়া, থানা- নাটোর সদর, জেলা- নাটোর, উভয়ের বর্তমান ঠিকানা- প্রযতেœ ঃ মোঃ আমিরুল হক, (বাড়িওয়ালা), সাং- হোল্ডিং নং-৩৪২/৩, ওয়ার্ড নং-১২, পৌলানপুর (সবেদার বাগান), থানা- পাবনা সদর, জেলা- পাবনাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিকট হতে ভিকটিম ১। মোছাঃ কারিমা (১৮), স্বামী- মোঃ ওমর ফারুক, সাং- মতিয়াগাছি, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী, ২। মোছাঃ ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (১৮), স্বামী মোঃ সুমন মোল্লা, সাং- মতিয়াগাছি, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ীদ্বয়কে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ জনৈক মোঃ ওমর ফারুক (২৭) র্যাব সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পে এসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে উক্ত লিখিত অভিযোগের মধ্যমে তিনি জানান যে, তার স্ত্রী মোছাঃ কারিমা (১৮) এর সাথে উপরোক্ত ০১ নং আসামীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ও বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। পরবর্তীতে উক্ত ০১ ও ২ নং আসামী ভিকটিম মোছাঃ মোছাঃ কারিমা (১৮) কে মোবাইলে ফোন করিয়া দেশের বাহিরে মোটা অংকের বেতনের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেয়। ভালো চাকুরী ও উন্নত জীবন যাপনের আশায় ভিকটিম মোছাঃ মোছাঃ কারিমা (১৮) তার স্বামীকে না জানিয়ে উক্ত আসামীদ্বয়ের নিকট চলে আসে। পরবর্তীতে বাদী মোঃ ওমর ফারুক (২৭) তার স্ত্রীকে খোঁজা খুজি করে না পেয়ে সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্পে এসে অভিযোগ দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিক্তিতে সিপিসি -২, পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানাী কমান্ডার মোঃ আমিনুল কবীর তরফদার (সহকারী পুলিশ সুপার) এর নির্দেশে ও তত্বাবধানে র্যাবের একটি চৌকশ দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান পূর্বক উক্ত ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানাযায় যে, উক্ত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে তাদেরকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তাদের নিকট নিয়ে আসে। পরবর্তীতে উক্ত আসামীদ্বয় তাদের দিয়ে জোর পূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে, কিছুদিন পরে উক্ত নারীদের ঢাকা সহ দেশের বাহিরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করে দেয়। এমতাবস্থায় র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় জানতে পারে যে, উক্ত আসামীদ্বয় একই কৌশল ব্যবহার করে আরও একজন ভিকটিম ২। মোছাঃ ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (১৮) কে তাদের নিকট নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। উক্ত ২ নং ভিকটিম এর মোবাইল ফোন কলের অবস্থান ধরে সিপিসি-২, পাবনা ক্যাম্প পাবনা জেলার সদর থানাধীন পৌলানপুর সাকিনস্থ ওয়ার্ড নং-১২, হোল্ডিং নং-৩৪২/৩ মোঃ আমিরুল হক (৪৩), পিতা-মৃত ডাঃ আবুল কাশেম এর তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় অভিযান পরিচালানা করে উক্ত ০২ জন ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ সংক্রান্তে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে পাবনা জেলার সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।