পাবনার সুজানগরে নৌকার প্রচারে মো. আশিকুর রহমান খান সবুজ
আর কে আকাশ, পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। এর মধ্যে নৌকা মার্কার প্রচারণায় মাঠে নেমেছে পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া আংশিক)আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আশিকুর রহমান খান সবুজ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (২০০২-২০০৬) সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির (২০০৬-২০১২) সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির (২০১৩-২০১৬) সাবেক সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কয়েকমাস ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নৌকার উন্নয়নগাথা নিয়ে সুজানগর উপজেলার ও বেড়ার ৫টি ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
এ আসনে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান আরজু এমপি রয়েছেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হন।
মো. আশিকুর রহমান খান সবুজের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন। সমর্থক ও নেতাকর্মীরা তার বর্ণাঢ্য পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং দুঃসময়েও দলের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নির্যাতিত হবার কারণে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করেন।
(পারিবারিকভাবেই মো. আশিকুর রহমান খান সবুজের রক্তের মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ধারা বহমান। শিক্ষা জীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (২০০২-২০০৬) সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির (২০০৬-২০১২) সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির (২০১৩-২০১৬) সাবেক সহ-সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য।
পারিবারিক সূত্রেই তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও ১৯৯০ এর গণতন্ত্র পূন:উদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন প্রতিরোধ কর্মসূচিসহ প্রত্যেকটি দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ ও নেতৃত্ব প্রদান করেন।
বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে একাধিকবার পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। উল্লেখ্য ২০০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ারের সামনে জাতীয়তাবাদী পুলিশ বাহিনী দ্বারা প্রচন্ড ভাবে শারিরীক নির্যাতনের শিকার হন।
১/১১, পরবর্তী সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পূর্ণ:প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে তিনি অংশ গ্রহণ করেন।
তার বাবা মৃত সৈয়দ আলী খান ছিলেন নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। দু:সময়েও তার বাবা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিলেন।
তার সেজ ভাই মো. মশিউর রহমান খান পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পর পর ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এখানে উল্লে¬খ্য বিএনপির ঘাটি এ ইউনিয়নে তিনি ২৫ বছর পর বিএনপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান কে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
তার সেজ বোন জিন্নাত আরা রোজী যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রিয় কমিটি সহ-সভাপতি ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ছোট বোন জেসমিন আরা মৌসুমী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (বাহদুর-অজয় কমিটি) সাবেক সদস্য, ঢাকা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
মো. আশিকুর রহমান খান সবুজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি (পরিসংখ্যান) পাশ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার কলাবাগানে অবস্থিত এন. এ. ইঞ্জিনিয়ারিং এর সত্ত্বাধিকারী।)
গত কয়েক মাস ধরেই তিনি নির্বাচনী এলাকা সুজানগরের নাজিরগঞ্জের নওয়াগ্রাম থেকে সাতবাড়িয়া, সাগরকান্দি, রাণীনগর, মানিকনগর, হাটখালি, তাঁতীবন্দ, আহম্মেদপুর, দুলাই, মাসুমদিয়া, রূপপুর, ঢালারচর, জাতসাখিনী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ও হাট-হাটবাজারে সভা, সমাবেশ, পথসভার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের চিত্র সংবলিত লিফলেট জনগণের কাছে তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন।
এ সময় তিনি মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
গণসংযোগে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রতন, শাওন খান, উজ্জ্বল মল্লিক, আরিফ শেখ, হাসান, নজরুল, ছাত্রলীগ নেতা সেলিম আহমেদ, তোফাজ্জল হোসেন, এনামুল হক মিলন, সোহেল হাসান বাবু, শামীম হোসেন, রাতুলসহ আওয়ামী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও ইউনিটের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় তার সাথে থাকা দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে মো. আশিকুর রহমান খান সবুজের পক্ষে দোয়া প্রার্থনা করেন।