পাসপোর্ট পরিচালক মুয়ীদ ইকরাম চাকরিচ্যুত

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতরের পরিচালক মুন্সি মুয়ীদ ইকরামকে অবশেষে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অফিসিয়াল পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হল। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

সূত্র জানায়, পাসপোর্ট ও বহিগর্মন অধিদফতরে এত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির ঘটনা এটাই প্রথম। এ ঘটনা পাসপোর্ট প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এর মধ্য দিয়ে উল্লেখযোগ্য হারে দুর্নীতি কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান সোমবার বলেন, পাসপোর্ট অধিদফতরে অনিয়ম দুর্নীতি করলে বড় বা ছোট কর্মকর্তা যেই হোন না কেন রেহাই পাবেন না। পাসপোর্ট অধিদফতর শতভাগ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে শতভাগ সেবার মনোভাব নিয়েই কাজ করতে হবে।

সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রাপ্যতাবিহীন সাধারণ নাগরিকদের অফিসিয়াল পাসপোর্ট প্রদান করেন। ভুয়া অনাপত্তিপত্রের ভিত্তিতে অফিসিয়াল পাসপোর্ট নেয়া একাধিক বাংলাদেশি তুরস্কে ধরা পড়েন। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভামমূর্তি ক্ষুণ হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট মুয়ীদ ইকরামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে তার উপস্থাপিত কাগজপত্র এবং বক্তব্য সন্তোষজনক হয়নি। বিভাগীয় মামলার তদন্ত ও একাধিক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা হওয়ায় চাকরিচ্যুতির মতো গুরুদণ্ড কার্যকরে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হয়। মুয়ীদ ইকরামের চাকরিচ্যুতির ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে পিএসসিও একমত পোষণ করে।

সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ৪র্থ বেতন গ্রেডভুক্ত নন-ক্যাডার গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ায় চাকরিচ্যুতির আদেশ জারির আগে দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!