পুলিশের সঙ্গে এমন হলে তার ভেতরটায় কি হতো
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আদালত প্রাঙ্গণে হাতকড়া পরিহিত বাবা। গিয়েছিলেন জামিন নিতে। কিন্তু জামিন হয়নি। তাই গন্তব্য কারাগার। যাওয়ার আগে প্রিয় সন্তানের মুখে আদর করে চুমু দিচ্ছেন। এঁকে দিচ্ছেন ভালোবাসার চিহ্ন।
হৃদয় নাড়ানো এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিটি দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দেশের রাজনীতির কড়া সমালোচনাও করেন। পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।
‘গত কিছুদিন যাবত যা হচ্ছে তা দেখে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশ নিডস অ্যামপ্যাথি। কাউকে গুম করার আগে, আঘাত করার আগে ভাবা দরকার এই আঘাত আমার উপর আসলে কেমন লাগবে আমার। কোনো বাবাকে সন্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার আগে ভাবা দরকার, আমার ক্ষেত্রে এটা হলে কেমন লাগবে।’
‘কালকে কোর্ট প্রাঙ্গণে হাতকড়া লাগানো বাবার সন্তানকে চুমু খাওয়ার ছবিটা দেখে এক বিনিদ্র রাত কেটেছে আমার। বাবারা সন্তানদের কাছে সুপারম্যান। সেই সুপারম্যানের এই অসহায়ত্ব আমাকে পরাজিত করেছে। আমি ভাবছিলাম, ‘উই নিড অ্যামপ্যাথি’! এমনকি যে পুলিশ ভাই তাকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারও হয়তো এরকম একটা বাচ্চা আছে। তারও অবকাশ আছে ভাবার, আহারে আমার সাথে এরকম হলে আমার ভেতরটায় কি হতো?’
সবশেষ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেন, ‘অ্যামপ্যাথি, অ্যামপ্যাথি ইজ হোয়াট উই নিড। এটা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে বলেছিলাম, এখনও বলি।’সূত্র-ইত্তেফাক।