হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহা বহিষ্কার
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসত্য অভিযোগ দেওয়া প্রিয়া সাহাকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে (প্রিয়াবালা বিশ্বাস) সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট। বিকেলে প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
অপরদিকে, আত্মপক্ষ সমর্থনে রোববার ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওতে অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রিয়া সাহার বক্তব্য উল্লেখ করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান ড. আবুল বারাকাত।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ জুড়ে। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে সারা দেশে বইছে প্রতিবাদের ঝড়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট। প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাস্তব সম্মত নয় বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
প্রিয়া বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে করা এনজিও ‘শারি’র পরিচালক এবং মাসিক ‘দলিত কণ্ঠ’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
উল্লেখ্য, ৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু গুম হওয়ার অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের কাছে নালিশ দেন প্রিয়া সাহা। যে ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।