কলকাতার বাজারে প্লাস্টিকের ডিম, বাংলাদেশেও ঢোকার শঙ্কা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সাধারণত খালি চোখে দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই! তবে যদি একটু ভাল করে দেখা যায় তবেই, বোঝা যাবে আসল-নকলের পার্থক্যটা! প্লাস্টিকের (নকল) ডিমের আতঙ্ক এবার ছড়িয়েছে কলকাতা শহরে! ভারতের কলকাতার কয়েকটি বাজার থেকে প্লাস্টিকের (নকল) ডিম জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক ব্যবসায়ীকেও। কলকাতায় ডিমের প্রধান পাইকারি বাজার শিয়ালদহ বৈঠকখানাসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার কয়েক বাক্স নকল ডিম জব্দ করে পুলিশ।
চীনের তৈরি বা চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এসব ডিম অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কলকাতার বাজারে আসে। কলকাতা পুলিশ এসব ডিম বাংলাদেশের বাজারে ঢোকারও আশঙ্কা করছে।
কলকাতার খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধক বিভাগ বলছে, এসব ডিম খেলে বা ব্যবহার করলে ক্যান্সারের শঙ্কা রয়েছে।
তিলজলায় প্রথম ওমলেট করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্লাস্টিকের ডিম শনাক্ত করেন অনিতা কুমার নামে এক স্কুল শিক্ষিকা। পুলিশ ও পৌরসভায় অভিযোগ করার পরেই শুক্রবার সকালে পার্ক সার্কাস বাজারের শামিম আনসারি নামে এক ডিম বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্লাস্টিকের তৈরি সন্দেহে কলকাতার প্রধান ডিম বাজার শিয়ালদহের বৈঠকখানা থেকে আরও তিন বাক্স ডিম আটক করে এদিনই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বর্ধমানের কাটোয়ার বাজারেও এদিন এক ‘ক্রেস্ট’ ডিম পুলিশ আটক করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পৌরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই প্লাস্টিক ডিম তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ট্রাকে চেপে আসা ডিমের সঙ্গেই এমন ডিম পাওয়া গেছে।
নকল ডিম চেনার সহজ উপায় হিসেবে কলকাতার ইন্সটিটিউট অব হাইজিনের পুষ্টি বিজ্ঞানী ডা. প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিমগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি সাদা, চকচকে এবং ভারি। সাধারণ ডিম ভাঙার পরই কুসুমের সঙ্গে কিছুটা জলীয় অংশ বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্লাস্টিক ডিমে তা হয় না।
ওমলেট অনেক সময় সাদা সিন্থেটিক আকার নিচ্ছে। ক্যালশিয়াম অক্সালেট দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই ডিমের খোল আগুনে দিলে পুড়ে গন্ধ বের হচ্ছে। ক্যালসিয়াম অক্সালেট দিয়ে তৈরি প্লাস্টিকের এই ডিমে স্নায়ুরোগ ও ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ অসুস্থতার কথা প্রচার হতেই কলকাতায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।