“ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ আমার বসন্ত”
“ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ আমার বসন্ত”
গত এক সপ্তাহ ধরে তোমাদের কাছ থেকে সুন্দর এই কথামালাগুলো এসে আমার মেছেঞ্জার এর জায়গা দখল করে বসেছে “ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ আমার বসন্ত”।
বসন্তের ছোঁয়া, বসন্তের বাতাস বিলেতের কনকনে শিতে বুঝা যায়না, শিমুলের লাল রঙ, থোকা থোকা কৃশ্নচুড়ার বাহার আমার দৃষ্টির সিমানার অনেক দূরে।
আমার বসন্ততো – আমার বিশেষ শিশুরা, আমার বসন্ততো আমার লার্ন এন্ড লিভ স্কুলের এর প্রাঙ্গণ।
পথ হাটি পৃথিবীর আনাচে কানাচে, কোথা থেকে আনি কিনে তাদের জন্যে গজমতির হাড়? কোথা থেকে আনি কিনে তাদের ঠোটের কোনের হাসি। বিষন্ন মন, বিষন্ন সময়, গত করি সময়ের বৈরী অভিজ্ঞতায়।
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই। এমন এক অনুভূতি পেয়ে বসেছিলো সারাবেলা। এত প্রয়োজন কি করে করা যায় পুর্ন?
স্কুলের প্লে গ্রাউন্ড ,ছিকিয়োর বাউন্ডারি আর গেট, আধুনিক ইকোয়েপমেন্ট, বিশেষজ্ঞদের দারা টিচার্স র্ট্রেনিং, নিয়মিত থ্যারাপি ও দুপুরের খাবারের ভাল আয়োজন।
বিধাতার দরজায় কড়া নাড়ি, একবার, দুবার বহুবার, নাড়তেই থাকি। নাড়তেই থাকি। এনে দাও বিধাতা বসন্তের ফুল বাতাস আমার বাগানে। তোমারিতো রয়েছে সকল ক্ষমতা।
আজ ভোরে এলো সে খবর, চোখ খুলতেই বসন্তের শিমুলের ঘ্রান এনে দিলো মনের দখিনা জানালা দিয়ে কোলকাতার সম্পা বিশ্বাস। আমার ছেলেবেলার বন্ধু। ভারতেস্বরী হোমসে আমরা একি সাথে পড়তাম। বড় রকমের একটা এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছে ব্যাংকে, প্লে গ্রাউন্ড নির্মানে।
নিউজিল্যান্ড থেকে নার্গিস আফরোজ চৌধুরি পাঠিয়ে দিয়েছে টিচার্স ট্রেনিং বাবদ খরচ। প্রভাতের ঘুম ঘুম চোখ খুলে পড়লাম খবরটি মোবাইলের সাদা পাতায়।
তোমাদের পাঠানো বসন্তের বার্তা খানি নতুন মোড়কে খোলা হলো আজ। যখনি ভাবছি আমার শিশুরা প্রানবন্দ হয়ে খেলবে খোলা প্রাংগনে, নাচবে, উড়াবে শখের ঘুড়ি।
সম্পা, নারগিস তোরা প্রান এনে দিলি আমার মরু অন্তরে, বৈরী সময়ে এনে দিলি বসন্ত বাহার।
এবার আমি গেয়ে উঠলাম” আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত বাঁশী বাজে, কত পাখি গায়। আহা আজি এ বসন্তে।”