‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে’ কমিয়ে আনা গেছে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি: হানিফ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফেণী মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে দলীয় মনিটরিং সেলের কর্মকাণ্ড ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, আমরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। গত ১০ বছর তার শাসনামলে সবদিক থেকে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নের একটি বড় অংশ হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের দুই হাজার কিলোমিটার দূরে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের খবর আমাদের দেশের আবহাওয়া অধিদফতর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে আগাম তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় আমাদের সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে’ বলে দাবি করেন হানিফ।
‘ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করছে’ বলেও যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছিলাম, যারা এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাদের নোঙরা ভাষায় কিছু বলা যায় না। তাই তাদের বক্তব্য অনেকেই পাগলের প্রলাপের সঙ্গে তুলনা করছেন।’
‘বিএনপি আসলে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ছিটকে পড়েছে। বিএনপি আজ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত। তারা নিজেদের সমস্যা ধামাচাপা দেয়ার জন্যই সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা নানা কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মিডিয়া সেলে ১০০টি কল এসেছে। তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা মনে করেছেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।
‘আমরা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় ফণী শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের টিম যাবে এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী রায়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।