বীরগঞ্জে বলৎকারে আহত শিশু হাসপাতালে
দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের বীরগঞ্জেে গত রবিবার(২৩ এপ্রিল) বলৎকারের ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সাদুল্লাপাড়া গ্রামের বাচ্চা মিয়ার ছেলে মোঃ আলম হোসেন জানান, আমার ছেলে মোঃ রূমন ইসলাম (১০)’কে লিল্লাহ বোডিংয়ে (আবাশিক) রেখে পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এলাকার ৭টি শিশু পাশ্ববর্তী কাজল গ্রামের মজনু হাজীর ছেলে হাফেজ আব্দুর রহিম ৫ মাস আগে উপজেলার বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। হাফেজ আব্দুর রহিম মাদ্রাসার একটি কক্ষে ঘুমাতে যায় রাতে শিশুকে দিয়ে শরীর টিপিয়ে (ম্যাসেজ) ও বলৎকার করে। শিশুর কাছে বলৎকারের ঘটনা জানতে পেরে অভিভাবকেরা মাদ্রাসায় গিয়ে প্রতিবাদ করলে হাফেজ আব্দুর রহিম মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ৭ শিশুর অভিভাবকদের সংবাদ দেন শিশুগুলো অসুস্থ্য। শিশু অভিভাবকেরা বুড়াবুড়ি মাদ্রসায় গিয়ে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। বিষয়টি হাফেজ আব্দুর রহিমের বাবার কাছে বলৎকারের অভিযোগ করলে অভিভাবক শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছে। শিশুরা অভিভাবকের কাছে অভিযোগ করে হাফেজ আব্দুর রহিম তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন রাতে বলৎকার করেছে। গুরুত্বর আসুস্থ্য শিশু ছাত্র মোঃ রূমন ইসলাম (১০)’কে গত সোমবার রাত ১১টায় বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আবাশিক মেডিকেল অফিসার মাহামুদুল হাসান পলাশ জানিয়েছেন শিশুটিকে একাধিক বার বলৎকার করার কারনে জটিল সমস্যা, মলদ্বার ক্ষত হয়েছে, রক্তক্ষরনের কারনে ঘায়ের সৃষ্টি ও পেটে ময়লা জমেছে। তাকে সুস্থ্য করতে ২ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। মাদ্রসার সভাপতি তারেক চেয়ারম্যান, শিশু ছাত্র আরমান (১০) ও ফুল মিয়া (১২) সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত হাফেজ আব্দুর রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মোগোপন করেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।