বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের সেবা প্রদান নিশ্চিত না করলে বিল পরিশোধ করা হবেনা মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর এএইচপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে সর্বসম্মতি ক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত না করে পল্লী বিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এলাকায় খবরদারী করলে তাদের প্রতিহত করার হুকুম দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। এ সময় বিদ্যুৎ বিহীন দুর্বিসহ জীবন যাপনের চিত্র তুলে ধরেন বক্তারা।
চন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ইউনুছ হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিদ্যুৎ বিহীন বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক মোল্যা।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে লোডশেডিং বিহীন বিদ্যুতের কোন বিকল্প নাই।’ সারাদিন শেষে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষায় থাকি। বিদ্যুৎ আসলে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার আগেই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১০ মিনিট বিদ্যুৎ পাই। বিদ্যুৎ কখন আসবে আর কখন যাবে তা জনগনের জানার অধিকার আছে কিন্তু জানতে পারে না।
বিদ্যুৎ না থাকার কারনে ফ্রিজের মাছ, মাংস সহ সকল কিছু পচে গেছে। তথ্য সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার চলছে না। মিল ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। ঘুমহীন রাত্রি যাপনের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অসুস্থ হয়ে পরছে। নানা রোগ জীবানুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-আবাল-বৃদ্ধ। পাশবর্তী মাদারীপুরের ছিলার চর ইউনিয়নে কখন বিদ্যুৎ যায় তা বুঝা যায় না আর আমাদের ইউনিয়নে কখন বিদ্যুৎ আসে তা বুঝিনা। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রত্যাশা করছি।
সাবেক মেম্বার গনি মাদবর, আমজাদ চোকদার, পিএম হায়দার আলী, মেম্বার লালু খান, টিএম জহির তালুকদার ও সাবেক মেম্বার ছোবাহান মাদবর বক্তব্যে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল বন্ধ করে রাখে। কখন বিদ্যুৎ আসবে তাও জানতে পারি না আর আমাদের অভিযোগও তাদের জানাতে পারি না। সেবা না পেলেও প্রতি মিটারে মাসে সর্বনিন্ম চার্জ ১২০ টাকা করে দিতে হয়।
স্বল্প রোজগারের লোকজন সপ্তাহ ও মাসের মাছ-মাংস এক সাথে কিনে ফ্রিজে রেখে সারা মাস খায়। সে সকল মাছ-মাংস পচে গেছে। প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কৃষক সারাদিন কাজ করে রাতে ঘুমাতে না পারায় পরের দিন আর কাজে বেরুতে পারে না। আলো বিহীন লেখা-পড়ায় বেঘাত হয় শিক্ষার্থীদের। এ বছর চন্দ্রপুর এলাকার শিক্ষার্থীরা বেশী ফেল করেছে। এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত সহ হয়রানীর মধ্যে পড়ছে অভিভাবকবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা আরও কলেন, বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত না করে বিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এলাকায় খবরদারী করতে এলে তাদের প্রতিহত করা হবে। উপস্থিত সাধারণ জনগন বক্তাদের কথা সাদরে গ্রহন করেছেন।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।