আওলাদ হোসেন এর লেখা- বিভ্রান্ত পথিক প্রবর
(আপনি যাই হন যাতে নিজেকে চিনতে পারেন, বুঝতে পারেন তার জন্য এই লেখা এবং রাজধানীর রাজনীতির গোলক ধাঁধায় না পড়েন তার জন্য শতর্ক হোন। আমরা সাপকে ভয় পাই পরকালে সাপ হয়তো বন্ধু হিসেবে কাছে আসবে এবং কথা বলবে, কারণ সেখানে সবই সম্ভব হবে। আর ছুটবে আনন্দ উল্লাসে আল্লাহর দিকে অনন্তকাল। তা ছাড়া আর কোন কাজ আমি দেখিনা।
যে আকাশের নীচে আদম সন্তান বসবাস করছে তাদেরকে কিসে বিভ্রান্ত করছে তার ইতিহাস জানা দরকার। এজন্যে ব্যাপক পড়া শুনার দরকার। শয়তান এখানে যুগে যুগে মানুষকে যেভাবে বিপথগামী করেছে তার অনেক কাহিনী। প্রথমে আদম (আ:) থেকে শুরু। তার পর একেক নবীর পর এক এক জাতির জন্য (প্রবর বা জাতি) নবীর আগমন ইতিহাসেরই অংশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ। এখানে ৯০% মুসলমান বাঙালি জাতি। এদের ৯০% গ্রামে বাস করে। শিক্ষিত জনেরা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে সর্বশেষ যে পর্যায়ে নিয়ে ঠেকিয়েছে তাতে হাতে গোনা কয়েকজন কলামিষ্ট আছেন যারা নির্ভয়ে লিখে শেষ দিয়েছেন। ভয়ে কলামিষ্টরা বলেছেন বুঝবেন না বা বলা যাবে না, বা বুঝে নিবেন। যারা স্বাধীনতা এনেছিলেন তারা বয়সের ভারে ন্যুজু দেহ ও মৃত্যু পথযাত্রী ফলে অনাহুতের মত কেউ বিপদ ডেকে আনতে চায় নাই। যারা রাজধানীর রাজনীতি করে তাদের জন্য এই লেখা প্রযোজ্য নয়। সাধারনের জন্য (চাষী) হলে ভালো হয়। স্বাধীনতা পূর্ব আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে বর্তমানে দুই দলের দ্বন্দ্বে এসে উপনীত হয়েছে। এখানে তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে শয়তান যাকে আল্লাহপাক দিয়েছেন বাঙালি জাতি চাঙ্গা রাখার জন্য। প্রশ্ন হতে পারে বাঙালি জাতির জন্য কেন? সব শক্তিই পদানত হওয়ার পর এখন বাঙালির ঘাড়ে শয়তান সওয়ার হয়ে আছে। পৃথিবীতে যে সকল জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের ইতিহাস কিছুটা পুনরুল্লেখ করা দরকার আর এর উৎস আলকুরআন। আরও একটি কারণ হচ্ছে পৃথিবীতে যত জাতি আছে তাদের মধ্যে ১৬ কোটি বাঙালির ৯০% মুসলমান এবং ৯০% মুসলমান ধর্মভীরু মসজিদ ভিত্তিক জীবন যাপন এবং বাপ বা মা মারা গেলই বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল। এত সুন্দর একটি পরিবেশ দেখে আর টঙ্গীতে ৫০/৬০ লাখ লোক একত্রে আল্লহু আকবার ধ্বনি দেয়ার শিক্ষা না পাওয়ায় জঙ্গীর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। ঈর্ষান্বিত হওয়ারই কথা। এবার প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী নবী রাসূলদের বিরোধীতা করায় যে সমস্ত জাতি যে সমস্ত কারণে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং পরবর্তীতে এই নিশ্চিহ্ন হওয়া নিদর্শনগুলিকে তাদের বাপ দাদার ঠিকানা সম্পত্তি হিসেবে গর্বে বুক ভাসান। বাঙালি আরও এক কাঠি সরেস। আল্লাহর ভয়ে ভীত বটে, কিন্তু ভোট দেয়ার বেলায় আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব অন্যথায় উন্নত দেশের মত যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিজাতীয় ভাবধারাকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করতো। কিন্তু বাঙালি এখানে উদার। কোন মানুষের কাছে মাথা নত করতে রাজী না কিন্তু হুতুম প্যাচা বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে নাচতে একটুও পিছপা হয় না। অর্থাৎ গাঁজার কল্কিতে দম দিতে পারলে আমিও একটান দিতে রাজী আছি। আর যদি ঐতিহ্যবাহী যাত্রা সিরাজুদ্দৌলা থেকে রূপবান অথবা বাবা কেন চাকর অথবা রূপের রানী জ্যোৎøা হলেই হয়, আর যায় কোথায়? যুবক বৃদ্ধ নর-নারী সবাই হুমড়ি খেয়ে পরে মাসের পর মাস। তবে যখন সীমা লঙ্ঘন করে এবং সদাশয় প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হয় তখন আর শেষ রক্ষা হয় না এবং পালানোর পথ থাকে না। এটাই হচ্ছে পূর্ব কালের ধ্বংসাবশেষ এর গোড়ার কথা। মানুষই মানুষকে শোষন করে, নির্যাতন করে, প্রভূ সেজে বসে আর তাই নেমে আসে আসমানি গজব। নূহ (আ:) তার কাওমকে এক আল্লাহর ইবাদত করতে বল্লে তারা তা অস্বীকার করল এবং আযাব দেখাতে বলল। নৌকায় আরোহন কারীরা রক্ষা পেল। অবাধ্যতার জন্য কাফেররা পানিতে নিমজ্জিত হোল। এসব গায়েবী খবর তারা তা জানতো না। আ’দের কাছে তাদের ভাই হুদকে পাঠানো হয়েছিল আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তোমাদের কাছে বিনিময় চাইনা। তারা অস্বীকার করলো এবং তাদের পরিনাম ধ্বংস। সামুদ জাতি আল্লাহর উটনীকে হত্যা করল। এক বিকট গর্জন তাদেরকে পাকড়াও করল, পরিনাম হল ধ্বংস। ইব্রাহীম নবীর কাছে ফেরেশতারা এসেছিল। লুতের কওম কে ধ্বংসের জন্য। তার কওমের লোকেরা তার কাছে ছুটে আসতে লাগলো। হে আমার কওম এই আমার কন্যারা রয়েছে, এরা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র। আপনিতো অবশ্যই জানেন আমরা যা চাই। আপনার লোকজন নিয়েবাইরে চলে যান। অবশেষে আমার হুকুম যখন এসে গেল, তখন আমি সে জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম। ক্রমাগত বর্ষণ করলাম কাঁকর, পাথর/শোয়ায়েব- হে আমার কওম। তোমরা মাপ ও ওজনে কম করবে না। তাদের প্রাপ্য দ্রব্যাদি কমদেবে না। লোকেরা বলল হে শোয়ায়েব আপনি যা বলেন তার অনেক কথাই আমরা বুঝিনা। তোমরা প্রতীক্ষায় থাক আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষায় রইলাম। সীমালংঘনকারীদের পাকড়াও করলো এক বিকট গর্জন, ফলে তারা নিজেদের ঘরে উপুড় হয়ে পড়ে রইল। মাদইয়ান বাসীদের পরিনাম ছিল ধ্বংস, যেমন সামুদ জাতির পরিনাম ছিল ধ্বংস। মূসা (আ:) কে নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমানসহ প্রেরণ করা হয়েছিল। আল্লাহ পাক পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন তাদের একটি কাজ আল্লাহর ইবাদত করা এবং আল্লাহ নির্ভর থাকা এতে দু:খিতও হবেনা, ভীতও হবে না। তার পর ইউসুফ নবী, ইউনুস নবী, এদের কাহিনীতে স্বপ্নের গুপ্ত রহস্য, আল্লাহর আদেশ ইত্যাদির প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্থানে এসবের বৃত্তান্ত দেয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে উপদেশ দেয়া হয়েছে যেমন, নামাজ কায়েম করবে দিনের দুই প্রান্তে এবং রাতের প্রথম ভাগে, নেক কাজ অবশ্যই মিটিয়ে দেয় বদ কাজ। মূসা (আ:) সম্পর্কে পুনরায় বলা হয়েছে “আমি আপনাকে দেখতে চাই…., তুমি দেখতে পাবে না…. পাহাড়ের দিকে তাকাও যদি তা স্থির থাকে ….. জ্যোতির বিকাশে পাহাড় চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেলো…. দেখা হলোনা।” “ফেরাউন বলল: রাব্বুল আলামিন কি বস্তু? …. যাদুকররা সিজদায় পড়ে গেল।…. ফেরাউনের লোকেরা সূর্যোদয় কালে তাদের পশ্চাতে এসে উপস্থিত হলো।“মূসা বললেন আমার রবতো আমার সাথে আছেন….। আবার” “…. সাগর বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগই বিরাটকায় পর্বতের মত ছিল; আর সেখানে আমি পৌছে দিলাম অপর দলটিকে। এবং মূসা ও তার সঙ্গীদের সবাইকে উদ্ধার করলাম। অত:পর অপর দলটিকে নিমজ্জিত করলাম”। এসব কাহিনী ১০ হাজার থেকে ৫ হাজার (বি.সি) বছর পূবে এই পৃথিবীতে ঘটেছে যা কল্প কাহিনী নয় বাস্তব ঘটনা। আগত ভবিষ্যৎকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা যা রসূলে পাক (সা:)কে অহীর মাধ্যমে আল্লাহ পাক জানিয়ে দিয়েছেন। যা বাস্তব এবং যা থেকে কোন মানুষ কোন কালেই শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। বাংলায় কুরআন থাকা সত্ত্বেও বাঙালি মুসলমান এই পবিত্র গ্রন্থটিকে পড়তে, বুঝতে নারাজ। বাংলাদেশের মত একটি বাঙালি মুসলমান প্রধান দেশে যা দ্বিতীয় স্থান লাভের দাবীদার সেখানে প্রধান দুই দল একইভাবে পথ চলছে পূর্বসূরীদের মতই। মাঝে মাঝে ঐক্যের ডাক শোনা যায়, যা জোট বাধতে অক্ষম। কিন্তু এই সমাজের, জনসাধারনের উপর যে দায়িত্ব বর্তিয়েছে তা মূসা আ: এর পরবর্তী কাহিনীটি হৃদয়গ্রাহী হবে বলে মনে করি। উপরন্তু কে কত শক্তিশালী, কে কত পারদর্শী, কার কপালে কি আছে তা সহজেই বুঝতে পারবেন। মাওলানা ভাসানীর আমলে বুঝতে পেরেছিলেন যে একমাত্র ফারাক্কা দিয়েই ১০০টি বাংলাদেশেকে কিভাবে হয়রানিতে রাখা সম্ভব হয়েছে অন্যান্য বিষয়াদির তো কোন প্রশ্নই ওঠে না যা গরীবের সংসারে বা দেশের জন্য প্রযোজ্য। কোন সহৃদয় ব্যক্তি কি পরে কিছু করতে পেরেছেন। জাতির জনক অবশ্যই পারতেন। মূসা (আ:) স্বীয় যুবককে সঙ্গে নিয়ে দুই সাগরের সঙ্গমস্থলে পৌঁছলেন। মূসা তাকে বললেন আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করতে পারি যে, সত্যপথের যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে তা থেকে আপনি আমাকে শেখাবেন? সংক্ষেপে হচ্ছে নৌকা ফুটো করে দেয়া হল, একটি বালককে হত্যা করলেন কোন প্রানের বিনিময় ছাড়াই। একটি প্রাচীর ঠিক করে দিলেন এর বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক গ্রহন করলেন না। মূসা (আ:) ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি। ফলে সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে গেল এবং প্রকৃত তত্ত্বকথা জানিয়ে দেয়া হলো। (১) নৌকাটি নিখুঁত থাকলে রাজা বলপূর্বক ছিনিয়ে নিত যা ছিল কতিপয় দরিদ্র লোকের। তারা সাগরে জীবিকা অন্বেষন করত। (২) বালকটি পিতামাতার অবাধ্য ছিল, এর বদলে এমন এক সন্তান দিবেন যে পবিত্রতায় মহত্তর ও ভালোবাসায় ঘনিষ্ঠতর হবে (৩) প্রাচীরটি ছিল এক নেককার লোকের ধনভান্ডার রক্ষার জন্য যাতে এতিম সন্তানেরা যৌবনে তা ফিরে পায়। আর আমি এসবের কিছুই নিজ থেকে করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করতে পারেননি, এ হল তার প্রকৃত তত্ত্বকথা এখনকার বা কোন কালেরই মুসলমানেরা এনিয়ে চিন্তা করেনা। ফলে মুসলমানেরা যে বিপদে পড়ে ঠ্যাং গাতায় পড়ে তা থেকে রক্ষার প্রকৃত পথ খুঁজে পায়না, চিন্তাও করেনা, আর যারা প্রায় নাস্তিক তারা বাঙালিকে কোন স্বর্গ ধরিয়ে দেয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা, পরিশ্রম করে যাচ্ছে তা প্রকৃতি পূজায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। তাদের জন্য আল কুরআনের শিক্ষা বসে থাকতে পারে না। মৌলবাদী হওয়ার জন্য এই কাহিনীটি দেয়া হয় নাই। সব যুগেই কাহিনীকে আসাতিরুল আওয়ালিন পুরানো দিনের গল্প বলা হয়েছে। এখানে জীবনের চলার পথে মৌলবাদের কিছু নেই, শুধু বাঘ এল, বাঘ এল বলে চিৎকার করে লাভ নেই, বাঘ সত্যিই এসে পড়বে এবং সময় নির্ধারিত করাই আছে। লুত (আ:) আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষনকারী প্রচন্ড ঝটিকা আমি তাদের চোখ নষ্ট করে দিলাম এবং বললাম আস্বাদন কর আমার আযাব এবং আমার সতর্কবানীর মজা। আর অতিপ্রত্যুষে তাদের উপর আঘাত বিরামহীন শাস্তি। আর আমিতো কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহন করার জন্য, অতএব কোন উপদেশ গ্রহন কারী আছে কি? অন্যত্র আমি লূতকে প্রেরন করেছিলাম। যখন সে তার কওমকে বলল তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে বিশ্ববাসীদের কেউ করেনি? তোমরা তো পুরুষদের কাছে গমন কর কামতৃপ্তির জন্য নারীদের ছেড়ে এবং তোমরা হলে সীমালঘনকারী সম্প্রদায়। এ শিক্ষা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য মাত্র। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ সমস্ত উদাহরণ থেকে উপদেশ গ্রহন করার দায়িত্ব কার? মওলানা ভাসানীকে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল ইসলাম কোথায়? ধর্ম সভায় কি বলা হয়? উত্তরে তিনি বলেছিলেন ইসলাম চার খলিফার পর কবরে এবং বর্তমান ইসলাম ইয়াজীদের উত্তরাধীকারের হাতে। সেই সংগে বলা যায়, ইংরেজ আমলে যে মাদ্রাসার উদ্ভব ঘটেছে তার সংগে সাধারণ শিক্ষার যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে তারা সফলকাম হয়ে দেশ ছেড়েছে। দেশ ও ভাগ করেছিল সেই ভাবেই। আর আমরা মধ্যপন্থিরা আল-কুরআন পড়িওনা, বুঝিও না, ৮০% লোক এই দলে। তবে ৯০% অশিক্ষিত হওয়ার কারণে ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে। তবে আল্লাহ পাক তার কোটা পূরণ করার জন্য চালাকের সংগে চালাকী করে চলছেন, তিনিই সর্বোচ্চ কৌশলকারী। কোটা কথাটি সহজে বুঝতে পারবেন না। এটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আল্লহর কালাম না পড়ে না বুঝে আলগা সেন্টিমেন্ট দিয়ে অসাধ্য লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। কেন শিশু জন্ম গ্রহণ করেই মারা যায়, কেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে শহীদ হয় বা গাজী হয়। কেন রোড এক্সিডেন্ট বা দূর্ঘটনায় মারা যায, কেন এক জাতি অপর জাতির উপর কর্তৃত্ব হারায়, কেন মজলুমেরা অসহায়ভাবে মারা যায় এসবই কেটা পূরণ হয় বলে মনে ভেবে দেখতে পারেন। তাছাড়া হিসাব মিলেনা। বিভ্রান্ত হলেও ইহকালে যা হবার তাই হবে, কোটা পূর্ব নির্ধারিত। বিশাল সৃষ্টিকর্মে পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্যময়, মানুষ সৃষ্টিও রহস্যময়, মহাকাশ কোটি কোটি মাইল বি¯তৃত ইত্যাদি ভেবে দেখার মতো। এসমস্ত অস্বীকার করায় কোন মুক্তি নেই, ধ্বংসের যে কাহিনী তা মনে রাখতে হবে। প্রথম প্রথম পড়তে মন চাইবেনা অবিশ্বাস হতে পারে কিন্তু ইকরা বিসমি রাব্বিকাল লাজি খালাক হচ্ছে কালজয়ী ঘটনা।