যেমন একটি বিরোধী দলের সন্ধানে A TRUE ALTERNATIVE
যেমন একটি বিরোধী দলের সন্ধানে A TRUE ALTERNATIVE
রণেশ মৈত্র
রক্তশ্রোতের উজান ঠেলে লাখো প্রাণ, সমুদ্র প্রমাণ রক্তে ম্লান করে বাংলাদেশ আত্ম প্রকাশ করেছিল আজ থেকে ৪৬ বছর আগে। সে রক্তের দাগ আত্মপ্রকাশের প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরেও, আজও মুছে যায় নি। রক্তের ধারা, রক্তম্লান কমবেশী চলছেই অবিরাম। এ এক নিদারুণ অভিশাপ যেন।
কিন্তু একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরকে প্রত্যক্ষভাবে যারা আমরা দেখেছি, দেখেছি একটি প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত দেশকে তারা তো এক বাক্যে সবাই বলবো যে পাকিস্তান পরবর্তী ধারাবাহিক গণ-আন্দোলন ও অবশেষে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যূত্থান এবং সবশেষে যে মহান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রহাতে বাঙালিরা করেছিলো তার ঘোষিত এবং প্রতিশ্রুতি লক্ষ্য ছিল বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক তথা ধর্ম নিরপেক্ষ ও শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ গঠনের। এ নিয়ে সামান্যতম বিতর্কের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
বাংলাদেশের জনগণের কাছে ঘোষিত ও প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাহাত্তরের মূল সংবিধানে প্রথিত হলো এবং এভাবে তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির মিললো।
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন কম-বেশী ঐ মৌলনীতিগুলি যেমন গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যাভিসারী অভিযাত্রা মোটামুটি বজায় থাকলেও পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট অতর্কিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে নিধনের পর থেকে শুরু হয়ে যায় নীতিমালার বিপরীত মুখী অভিযাত্রা রাজনৈতিক অনাকাংখিত, অনভিপ্রেত পালাবদল রাষট্রীয় মৌল নীতিগুলিকে দীন বিদীর্ন করা হয় পবিত্র সংবিধান গৌরব মথিত মৌলনীতিগুলি সাথে সাথে পরিববর্তিত বিধানসমূহ বাস্তবায়ন দৃশ্যও সচক্ষে অবলোকন করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।
তখন কিন্তু চিন্তাচেতনার দিক থেকে আমরা আওয়ামী লীগের ইতিবাচক দিকগুলির প্রতি এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম যে তাদের নীতি আদর্শ বিরোধী কর্মকান্ডকেও যথেষ্ট পরিমাণে উপেক্ষা করে চলেছি। তদুপরি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বামপন্থী দুটি রাজনৈতিক দল (ব্যাপকভাবে মধ্যবিত্ত সমর্থিতযদিও) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশর কমিউনিষ্ট পার্টি যথেষ্ট শক্তিশালী আওয়ামী লীগ সরকারকে ভাল দেখা গেল ১৯৭৩ এর মাঠে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রথম সাধরণ নির্বাচনেরই আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোট যথেষ্ট পরিমাণে কম।
কিন্তু ন্যাপ ও সিপিবি তো ক্ষমতাসীনদল ছিল না ছিল দুটি বিরোধী দল এবং যথেষ্ট শক্তিশালীও। কিন্তু জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল বিরোধীদলের কাছে আকাংখিত যথার্থ ভূমিকা পালন না করায় তাদের জনপ্রিয়তায় ঢল নামে অনেক দ্রুততার সাথে। ১৫ আগষ্টের পরেকার তাদের সাংগঠনিক পরিস্থিতির কথা যাঁরা আজও মনে রাখতে পেরেছেন তাঁরাও নিশ্চয় স্বীকার করবেন কুণ্ঠহীনভাবে যে জনগণ তখন ন্যাপ ও সিপিবি কে বিরোধীদল বলে মনে না করে সরকার বা আওয়ামী লীগ পন্থী বলেই বেশী মনে করতো তাদের জনপ্রিয়তায় ধর্ম তাই ছিলতীব্রতর গতি সম্পন্ন।
ন্যাপ সিপিবির সাধারণ কর্মীরাও নেতৃবৃন্দের অনুসৃত নীতির সাথে একমত হতে না পেরে অনেকেই ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছিলেন।
আর এই পরিস্থিতির সুযোগটা নিলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে নবঠিত রাজনৈতিক দলটি। এরা সমগ্র রাজনীতির অনুসারী হয়ে ঐ পথেই সরকার উৎখাতের রাজনীতির নেমেছিল কণ্ঠে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের উগ্র শ্লোগান ধারণ করে। যেহেতু দলটি তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকারের সার্বিক বিরোধিতায় নেমেছিল তাই বিরুদ্ধ জনমত (ও জামায়াত অনুসারীরাও) দিব্যি তাদের পক্ষভূক্ত হয়ে পড়ে এবং এতে আপাতত দৃষ্টিতে তারা শক্তিশালী বিরোধী দলেও পরিণত হয়। এই ধরণের নেতিবাচক উগ্র রাজনীতি অবশ্য দেশের সমূহ ক্ষতি সাধন করেছে। জাসদ ও সশস্ত্র প্রতিরোধের রাজনীতিতে লিপ্ত তাদের বহু সংখ্যক কর্মীকে হারাতে থাকে এবং নিজেরাও ব্যাপক সাংগঠনিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অপরদিকে লাভবান হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামী সহ ধর্মঠ গোষ্ঠী সমূহ।
ফলে ধীরে ধীরে বিরোধী দলীয় রাজনীতিতে এক শূণ্যতার সৃষ্টি হতে থাকে এবং আজ তা এক ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় কুঠারঘাত করতে শুরু করেন। সংসদ-বর্হিভূত সামরিক আইনের খড়া দিয়ে পঞ্চম সংশোধনী মারফত সংযোগন করলেন “বিসমিল্লাহ্” আর প্রত্যাহার করলেন ধর্মরিপেক্ষতা সহ সাম্প্রদায়িক ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীসহ সকল তথকথিক ইসলাম পন্থী দল। অপরপক্ষে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ধারী গোলাম আযমকে ভিসা ইস্যু করে দেশে এসে থাকার সুযোগও করে দিলেন।
অহমিকার সাথে ঘোষণা করলেন “রাজনীতিকদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন” করে তুলবেন তিনি এবং তাই তাঁর ঘোষিত ঐ নীতি মোতাবেক সুবিধাবাদী ও দলচ্যুত রাজনীতিক, আমলা ব্যবসায়ীদের নিয়ে গড়ে তুললেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঐ দলটি তাঁর মৃত্যুর পরেও ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ পর্য্যন্ত দুই টার্ম বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচিত হয়ে দেশ শাসন করেছেন। শুধু তাই নয়, আজ এই নীতিহীন দলটি বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত এবং সক্রিয়।
কিন্তু অনেক বেশী পুরাতন ও পরিচিতি এবং ঐতিহ্যশালী দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি আজ অত্যন্ত দুর্বল এবং জনগণের মনে তেমন অস্তিত্ববোধও নেই তাদেরকে নিয়ে। তদুপরি দফায় দফায় অনাকাংখিত ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দল দুটি আজ অত্যন্ত ক্ষীণকায়।
জনগণের বিবেচনায় সেই “অতিবিপ্লবী” জাসদেরও তেমন একটা স্থান নেই। “মশাল” এর বদলে “নৌকায়” আরোহী হয়ে সংসদে কয়েকাটি আসন ও একটি মন্ত্রীত্ব নিয়ে দলের নামের অস্তিত্বটা কোনমতে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন মাত্র। প্রকৃত পরিস্থিতি নৌকা ছাড়ার পর স্পষ্ট হবে।
একই ভাবে আরও দ’তিনটি বামপন্থী দল নৌকায় চড়ে গত নির্বাচনে অংশ নিন। তার মধ্যে ওয়াকর্সন পার্টি কয়েকটি আসনে বিজয়ী এবং একটি মন্ত্রীতাবও পেয়েছেন। গণতন্ত্রী পার্টি ও ন্যাপ (মো:) তাও না পেয়ে বস্তুত অস্তিত্বের এবং পরিচিতির হুমকীতে এঁদের নৌকারোহনের সিদ্ধান্ত ভূল বা নির্ভূল তা নিয়ে কোন মন্তব্য আমি করতে চাই না। তাঁরা নিজেরাই বিষয়টা পর্য্যালচনা করে আগামীতে উপুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বিশ্বাস করি।
বাসদ ও সিপিবি জোট বেঁধে এতদিন ছিল বৃহত্তর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য আহ্বান জানিয়ে। বছরের পর এই দ্বিদলীয় জোট কাজ করে অবশেষে ঘাত দলীয় গণতান্ত্রিক মোর্চারা সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে সংবাদ পত্রে দেখলাম। কিন্তু এটা কতটা গণ-আকাংখা পূরণে সক্ষম হবে জানি না যাঁরা এই ঐক্য করলেন তাঁরাও এতে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ঐক্য গঠিত হলো বলে মনে করেন কি না জানি না। তবে হয়তো এতে ঐক্যের পথে একধাপ অগ্রগতি সূচিত হবে।
যা হোক, বিরোধী দলের ক্ষেত্রে বিরাজিত শূণ্যতা যে কত ব্যাপক, পূর্ব বর্ণিত চিত্র গভীরভবে পর্য্যালোচনা করলে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এখন এই আলোচনা গুছিয়ে আনতে চাই। আলোচনাটা হচ্ছে “যেমন একটি বিরোধী দল প্রয়োজন” বিষয়টি নিয়ে। সেই আলোচনায় নেমে পরিস্থিতির বিদ্যমান চিত্র এতক্ষণ ধরে আঁকবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মনে হয় না তাতে সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। আসলে বাস্তবে যার অস্তিত্ব যেই তেমন একটা কিছুই তো জনগণের স্বার্থে প্রয়োজন।
বি.এন.পি কে বিরোধী দল ভাবলে তা হবে ভূল। এবং সেই ভূল বারংবার ঘটে চলেছে কিন্তু তাতে দেশের ও জনগণের সমস্যা তো মেটেই নি বরং তা দিনে দিনে প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে মাত্র একটি দলে বেশ কিছু লোক থাকলে এবং তার কিছু জনসমর্থন থাকলেই তার দ্বারা তাকে আকাংখিত বিরোধী দলের মর্য্যাদা পূর্ণ আসনে বসানো যাবে না সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের এই বাংলাদেশে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধিষ্ঠিত। তারা আজ ক্রমান্বয়ে সাম্প্রদয়িক ধর্মান্ধ শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করে চলেছে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা সাংবিধনিকভাবে ক্ষুন্ন করেছে কুখ্যাত পঞ্চদশ সংশোধীর দ্বারা। সংযোজন করেছে, জিয়াউর রহমানের বিসমিল্লাহ্। বৈধতা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামীকে ও অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দলকে। এরশাদ এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকেও সাদরে স্থান দিয়েছে সংবিধানে ঐ সংশোধনী মারফত।এ সবই গণতন্ত্র বিরোধী এবং র্ধনিরপেক্ষতার সাথে মারাত্মকভাবে সাংঘঠিক। এগুলি জেনে বুঝে সচেতন ভাবেই হালের আওয়ামী লীগ আত্মহননের নিশ্চিত পথে যাত্রা সুরু করেছে দেশ দেশের কোটি কোটি মানুষকে ফেলেছে চরম বিপর্য্যয়ের মুখে।
এর সাথে জামায়াতকে বে-আইনী ঘোষণার দাবী এবং দাবীর অনুকূলে তাদের দফায় দফায় ঘোণণা সত্বেও তারা তা সচেতনভাবেই করলো না। বরং হাজার হাজার জামায়াত শিবির নেতাকর্মীকে দিব্যি আওয়ামী লীে সাড়ম্বরে যোগদান করিয়ে তাদেরকে মোলুম হজম করে ফেলেছে। এ প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত তবে তা প্রকাশ্যে নয়, অত্যন্ত গোপনে।
সর্বশেষ আত্মমর্পন অধিকতর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মাত্র কিছুদিন আগে করলো হেফাজতে ইসলামের কাছে। তাদের দাবী মোতাবেক শিক্ষা কার্য্যক্রমের প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদয়িক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে এবং আরও অনেক কিছু। তারা বলতে চায় তারা গণতান্ত্রিক এবং ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। মানুষকে তারা বেমালুম বোকা ঠাউরাতে চায়।
এতসব কিছু দেখেও তথাকথিত প্রধান বিরোধী দল কি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেছে? করে নি কোনদিন। এখন ভবিষ্যতেও করবে না। এরা তলে তলে ঐ নীতিগুলিতেও সমর্থক। চলতে চায় জামায়াত-হেফাজতা উগ্র ধর্মান্ধ দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরোধীতা এরা করে নি। বাহাত্তরের মূল সংবিধানের সমর্থন দেয় নি কোনদিন। ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটিও কদাপি উচ্চারণ করে নি এরা।
গণতন্ত্র বলতে এরা জনগণের অধিকার বা জনগণের স্বার্থে নিয়োজিত কোন ব্যবস্থাকে প্রবর্তন পদ্ধতি বলে মনে করে না আদৌ। গণতন্ত্র বলতে এরা শুধুই নির্বাচনকে মনে করে। আবার এমন নির্বাচন যাতে তাদের বিজয়সূচীত হয় ও তারা ক্ষমতায় আসতে পারে। সে কারণেই তারা নির্বাচন নির্বাচন করে চীৎকার করে।
কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঘুস-দুর্নীতি সংখ্যালঘু নির্য্যাতন, নারী অপহরণ ধর্ষণএগুলি নিয়েও বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত-হেফাজতীদের আদৌ কোন মাথাব্যাথা নেই।
এহেন পরিস্থিতিতে স্পষ্টত:ই বুঝা যায়-এরা আদৌ বিরোধীদল নয় বরং সরকারী দল হালের আওয়ামী লীগ অনুসৃত নীতি আদর্শের তারাও পূজারী। তবুও তাদের মধ্যে চলে কোন্দল। এ কোন্দল আদৌ জনস্বার্থে নয় এগুলি পূরো দস্তর ক্ষমতার কোন্দল যার মধ্যে জনগণের স্বার্থ কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়।
তাই একটি প্রকৃত বিরোধী দল দ্রুতই গড়তে হবে। কেমন হবে সে দলটি? তাকে গড়ে উঠতে হবে জনগণের মধ্য থেকে। ছোট ছোট প্রগতিশীল দলগুলিকে যুবসমাজকে সাথে নিয়ে সংগঠিত করে বাহাত্তরের সংবিধানকে অবিকৃতভাবে পুণ:স্থাপনের দাবীতে এক বৃহৎ জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত করে গণতন্ত্রিক পদ্ধতিতে তা গড়ে তুলতে হবে। ব্যপক গণজোয়ার সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অত:পর অনুরূপ কনভেনশন সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।
এই প্রস্তাবিত দলটি রুখে দাঁড়াবে না সম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জামায়াত-হেফাজত সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবীতে, অশিক্ষা-কুশিক্ষার বিরুদ্ধে, নারীর পূর্ণ ক্ষমতায়নও নির্য্যাতন মুক্ত জীবনের নিশ্চয়তার দাবীতে দরিদ্র-বেকারত্ব দূর করার দাবীতে, ব্যাপক শিল্পায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন। সড়ক, রেল, নদীপথ সহ সকল ক্ষেত্রে।
এত দ্রুত আধুনিকায়ন, সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ স্বল্পমূল্যে সরবরাহের ব্যবস্থার দাবীতে, ব্যবসা-বণিজ্যের গতানুগতিকতা স্থবিরতা দূর করার দাবীতে, আয় করের পরিধির ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়ে কর-ব্যবস্থার হার হ্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত করা।
সংসদ ও সকল নির্বাচিত সৎ প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার অনুকূল বিধি ব্যবস্থা তৈরি ও তা বাস্তবায়নের দাবীতে ও অসমাপ্ত সাধনে সার্বিক উদ্যেগ আব্যহ তৈরীতে দ্রুত কর্মসূচী তৈরী করে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে।
এভাবেই গড়ে উঠুক বাংলাদেশের প্রকৃত বিরোধী দল যা প্রচলিত দলগুলির হবে মৌলিক বিরোধী।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।