বোদায় জাল নোট দিয়ে কৃষককে ফাঁসানোর অভিযোগ
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের বোদায় পারিবারিক কলহের জেরে জাল নোট দিয়ে মোঃ বাবুল হোসেন নামের এক কৃষককে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কৃষক বাবুল হোসেন উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
বুধবার (১৯ জুন) কৃষক বাবুল হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলোহে মোঃ বাবুল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ সকিনার মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে বাবুলের স্ত্রী সকিনা তার আত্মীয় কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের লাহেরী পাড়া এলাকার মৃত জবর আলীর ছেলে মোঃ রইস উদ্দিন এবং একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বাবুল হোসেনের সহযোগিতায় গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বাবুলকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে বাবুল পার্শ্ববর্তী জমিতে ঘর তুলে দিনাতিপাত করতে থাকে। হঠাৎ গত ১৫ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ১০ টায় লাহেরীপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা’র সহযোগিতায় বাবুলের স্ত্রী সকিনা বেগম ও তার আত্মীয় রইস উদ্দিন ও বাবুল হোসেন ভুক্তভোগী বাবুলের অনুপস্থিতিতে তার বর্তমান থাকার ঘরের বিছানার নিচে ১৮ টি পাঁচশত টাকার জাল নোট, একটি এক হাজার টাকার জাল নোট ও দুইটি ভারতীয় পাঁচশত টাকার জাল নোট রাখে এবং পরবর্তীত ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়।
এদিকে পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনা সম্পুর্ণ সাজানো বুঝতে পেরে উল্লেখিত মোস্তফাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বীকারোক্তিতে ঘটনা প্রমাণ পেয়ে মোস্তফাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে বাবুলকে তার ছেলে মনিরের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এঘটনায় মোস্তফা ও রইস উদ্দিন সহ অজ্ঞাত দুইজনের নামে মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগী বাবুল জানায়, আমি এবং আমার ছেলে মনির বাড়িতে এসে দেখি ঘর থেকে প্রায় ১০ মণ বাদাম, নগদ এগারো হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও দুইটি উন্নত জাতের রাম ছাগল যার সর্বমোট মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা এবং আমার জমিনের মূল দলিলপত্র ঘরে নাই।
পরে জানতে পারি আমার স্ত্রীর সহযোগিতায় লাহেরীপাড়া এলাকার মৃত হাসেন আলীর ছেলে আজিজুল হক, মৃত জবর আলীর ছেলে রইস উদ্দিন এবং আব্দুর রশিদের ছেলে বাবুল হোসেন আমাদের অনুপস্থিতিতে এসব মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউ.পি সদস্য শওকত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী কৃষক বাবুল হোসেন ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই তার আশংকার বিষয়ে আমাকে জানিয়েছিল।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।