ভোটের আগে পাকিস্তানে আরও একটা হামলা চালাতে পারে ভারত, মন্তব্য ইমরান খানের
আন্তর্জাতিক ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পুলওয়ামা হামলার সময়েই অভিযোগ তুলেছিলেন, নির্বাচনের কারণে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ভারত। মঙ্গলবার ফের কার্যত সেই কথারই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুখে। ‘সাধারণ নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত ভারত উত্তজেনা জিইয়ে রাখবে’,—মন্তব্য ইমরানের। শুধু তাই নয়, পাক প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘ভোটের আগে পাকিস্তানে আরও একটি হামলা চালাতে পারে ভারত।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের পর ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ভারত যে কোনও সময় পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই ওই সময় ইমরান খান বিবৃতিতে বলেছিলেন, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে নয়াদিল্লি। তবে ভারত হামলা চালালে পাকিস্তানও প্রত্যাঘাত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইমরান।
পরবর্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এক হাজার কেজি বোমা ফেলে আসে বলে দাবি করা হয়। তার পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশে ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানের একাধিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে সেই পাকিস্তানের এফ-১৬ ধাওয়া করে ডগফাইট হয় এবং পাক সেনার হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পাকিস্তান অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেয়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা এখনও কাটেনি। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন ভোটের আগে আরও একটি ‘ভুল অভিযান’ চালাতে পারে।
‘ভুল অভিযান’ বলতে পাক প্রধানমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারি বালাকোটের অভিযানের কথাই বলতে চেয়েছেন। কারণ ভারতীয় ওই বায়ুসেনার অভিযানে পাকিস্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি এবং অভিযান পুরোপুরি ব্যর্থ বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে ইসলামাবাদ।
ইমরান এ দিন আরও বলেন, ‘‘বিপদ এখনও কাটেনি। ভারতের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক থাকবে। তবে ভারতের দিক থেকে কোনও রকম আক্রমণ হলে আমরা পাল্টা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত আছি।’’
মঙ্গলবারই তালিবানদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার কথা ছিল ইমরান খানের। ইমরানের দাবি, তিনি তালিবানদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন। কারণ আফগান সরকারের পক্ষ থেকে ওই বৈঠক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।