ক্রিকেটার শহীদের ভয়াবহ নির্যাতন
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আমার প্রথম সন্তান হওয়ার সময় আমার সিজার করতে হয়।তখন চল্লিশ দিনও হয়নি ও রাতে একটি মেয়ের সাথে গল্প করছিলো। আমি তখন ওর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিলে ও আমার পেটে লাথি মারে ঘুশি মারে খাট থেকে ফেলিয়ে দেয়।
এই কথা গুলো আর কারো নয়, কথা গুলো বললেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মোহাম্মদ শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার।
শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রাজধানীর সেগুন বাগিচায় অবস্থিত বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মা ও শিশু বিভাগে কন্যাসন্তান প্রসব করেন শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার।
হাসপাতালের কেবিন নম্বর ২০২-এ চিকিৎসক রুনা লায়লার তত্ত্বাবধানে তিনি টানা ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন। ক্রিকেটার শহীদ তখন মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে ছিলেন। কিন্তু এক বারের জন্যও তিনি সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে আসেননি। এই সময় ফারজানার সঙ্গে ছিলেন তার মা ও শাশুড়ি।
স্বজনরা জানান, হাসপাতাল বিলের এক লাখ ১০ হাজার টাকার এক পয়সাও পরিশোধ করেননি শহীদ। এরপর ফারজানা তার পাঁচ ভরি স্বর্ণ নারায়ণগঞ্জের এক দোকানে বন্ধক রেখে টাকা এনে হাসপাতালের বকেয়া বিল পরিশোধ করার ব্যবস্থা করান।
ছয় বছরের সংসারে শহীদ ও ফারজানা আক্তারের সন্তান দুই জন। প্রথমটি ছেলে সন্তান হওয়ায় তিনি ছিলেন খুশি। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীর ওপর শুরু হয় অত্যাচার, নির্যাতন।
কিন্তু কিন্তুএসব অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করছেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ।তিনি বলেন, এই সব নিউজ করে কোন লাভ হবে না। নিউজ করে কেউ পারছে সংসার ঠিক করতে।আর এই সব করলে বিপরীত ভাবেই যাবে।আমরা স্ত্রী যা বলছে মিথ্যা বলছে বানিয়ে বলছে।
হয়তো শহীদ এখন আর আগের শহীদ নেই।তাই স্ত্রী ফারজানার উপর তাঁর ভালোবাসাটাও আগের মতো নেই।তাই বলে এমন নির্যাতনের কোন বিচার কি নেই?
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।