মা যতক্ষণ বেঁচেছিলেন, হাসপাতালের জানলায় বসে ছিল
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সন্তানের জন্য মায়ের আত্মত্যাগের কথা কে না জানে? এ জগতে একমাত্র মা-ই সন্তানের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারেন। তবে বড় হতে হতে অনেক সময় আমরা ভুলে যেতে থাকি মায়ের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ। কিন্তু বহু বছর আগে বায়েজিদ বোস্তামি ছিলেন যেন একটু অন্যরকম। তাঁর মাতৃভক্তি ছিল অসামান্য।
বর্তামান যুগে যেন এমন মাতৃভক্তির দৃষ্টান্ত পাওয়াই অনেকটা কঠিন কাজ। কিন্তু তবু, কোথাও যেন মা-সন্তানের সম্পর্ক আলাদা হয়ে যায় সব কিছু থেকে। ঠিক যেমন করোনার এই দুঃসময়ে ঘটল। করোনা দুঃসময়ে মাতৃভক্তি দিয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছেন এক ফিলিস্তিনি তরুণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে কয়েকতলা ওপরে কাচের দেওয়ালের পাশে ভেতরের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। বয়স বেশি নয়। কিন্তু কেন এমন হাসপাতালের জানলার পাশে বসে আছেন তিনি? সেই বিষয়ের সন্ধান করতেই বেরিয়ে এসেছে অবাক করা তথ্য।
ওই তরুণের নাম জিহাদ আল সুয়াইতি। বয়স ৩০। তাঁর মা করোনা আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি মা–কে দেখতে যাওয়ার অনুমতি স্বাভাবিকভাবেই পাননি ছেলে। তাই তিনি অপেক্ষা করেছেন জানলার পাশে বসে। শেষ সময়ে মায়ের কাছ থেকে সরে যেতে চাননি। জানলা দিয়েই তিনি দেখেছেন, মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। যতদিন মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ততদিন রোজ রাতে ওই জানলার ধারে বসে থাকতেন এই তরুণ। মোহাম্মাদ সাফা নামে একজন এই ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন এই বিষয়টি।
করোনা আক্রান্ত মায়ের আগে থেকেই ছিল লিউকোমিয়া। পাঁচদিন তাঁকে ভর্তি থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেই তরুণ সন্তান বলেন, আমার অসহায় লাগতো। তাই হাসপাতালের জানলার ধারে বসে থাকতাম। মাকে দেখতে।