মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার পরবর্তী স্বাক্ষী গ্রহণ ২৬ জুলাই ॥ এমপি রানার উপস্থিতিতে সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বাদী নাহার আহমেদের পর আজ ২৭ জুন বুধবার নিহত ফারুক আহমদের ছেলে মজিদ সুমনের সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই পরবর্তী স্বাক্ষীর দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ বুধবার সকালে (১০.৩০মিনিট) মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১০.৪৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানমের আদালতে এ মামলার সাক্ষী মজিদ সুমনের জেরা শুরু করেন আসামীপক্ষের আইনজীবিরা। প্রায় আড়াই ঘন্টা জেরা শেষে সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়। পরে আদালতের বিচারক আজকের দিনের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষনা করেন এবং পরবর্তী স্বাক্ষীর দিন ২৬ জুলাই ধার্য্য করেন ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।