মূল্যস্ফীতি বাড়বে, চাপে পড়বেন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ: সিপিডি
অনলাইনডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামগ্রিকভাবে যে কর কাঠামো আছে তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তারা বলেছে, বাজেটে যে কর ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে তাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, বাড়বে ভোগ ব্যয়। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এতে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশি চাপে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসবের প্রভাব পড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর। করের চাপ মধ্যভিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের ওপর বেশি হয়ে গেছে।
সামগ্রিকভাবে বাজেটে যে আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি।
দেবপ্রিয় বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা দিয়ে দক্ষতার সাথে বাজেট বাস্তবায়ন করা যাবে না। বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়ন করার একটা রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। তাহলে জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করা, কিন্তু বাস্তবে আমরা বাজেট প্রনয়ন ও বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা দেখি না। বাজেটে যে প্রত্যাশা তার সাথে আমরা একমত। কিন্তু বাস্তবায়ন কাঠানো যথাযথভাবে দেখছি না।
নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটে আগের ভ্যাট আইন ও নতুন আইনের মিশ্রণ ঘোষণা করা হয়েছে। আগের আইনে যা কিছু রাখা হয়েছে কোনটা কেন রাখা হলো তা অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার করেননি। প্রকৃতপক্ষে করের আপাতন কোথায় বাড়ল কিংবা কোথায় কমল তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারণা অভ্যন্তরীণ বাজারে উৎপাদনমুখী তৎপরতার উপর চাপটা বেশি পড়ল।
এদিকে বাজেটের আর্থিক কাঠামোর দুর্বলতা উল্লেখ করতে গিয়ে সিপিডি বলেছে, আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা তাদের কাছে অবাস্তব মনে হচ্ছে। তারা বলছে, গত চার বছর মিলে এ পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া যায়নি। অর্থমন্ত্রী আসলে কোনো রকমে একটা অংক দিয়ে হিসেব মিলিয়ে দিয়েছেন। এগুলো বাস্তব সম্মত নয়।
অনুষ্ঠানে বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংস্থার অন্য গবেষকরাও উপস্থিত ছিলেন।