সেলিনা জাহান প্রিয়ার কবিতা- মৌনতার র্নিঘুম রাত
মৌনতার র্নিঘুম রাত
———————–সেলিনা জাহান প্রিয়া
র্নিঘুম রাতের মেঘ চাঁদের হেয়ালি
প্রহরী হয়ে ব্যাল্কনিতে চাতক খেয়া।
তুমি চোখের আশুতে ঝড়ে পড়া ফুল
জেগে আছি যদি পথ ভুলে আসো হে
এই শহরের আমার সুখের বন্যা হবে ।
আমার মত করে দেখব তোমায়
পুরনো কিছু স্মৃতি বুকে নিয়ে খেলা !!!
কেন অবেলায় এসেছিলে ফুল তলাতে
কেনই বা অবেলাই হারিয়ে গেলে এমন?
ফিরে এসো, চল প্রাচীর ধারায় লিখি
আধুনিকতার স্রোতে তো আবার ভুল,
প্রাচীনতায় নেই কোন ইথারের টান ।
উদ্ভাসিত নক্ষত্র মনের উঠান এলোমেলো।
ভাবনায় ভেবে যাই সে নাকি কাল্পনিক?
দিবা-নিশিতে দেখেছি, ঐ নয়নের আলো,
নয়নে নয়নে পরেনি পলক র্নিঘুম রাতে !
আবেগ প্রবণ মনে বসন্ত এসেছিল মনে
একখানা স্বচ্ছ দর্পণের সামনে দাঁড়িয়ে
ক্ষণিকের সুখের আর দীর্ঘমেয়াদী দুঃখে
বসে আছি অবজ্ঞার বেরি পায়ে অন্ধকারে
ভাগ্য অন্ধকার কাঁনামাছি খেলে নীরবে
গভীর রাতে দু’য়েকটি ঘরের জানালা
উদাস থাকতেই পারে যাতনাময় সুবাসে!
সুতোয় বাঁধিনি তারে বেধেছিনু পরাণে
আছি আশায় বসি শ্রাবন ধারায়, তাই
খুজি তোকে বর্ষাকলির অনন্ত ধারায়।
জানি ফেরা হবে কিনা সমুদ্র দূর দেশ হতে
তবুও যদি আসে ফিরে, এই মায়াডোরে তরে।
ফিরে এসে বিবর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে একটু দেখতে ,
পরাণ ভরে দেখিতাম র্নিঘুম রাতের মেঘ চাঁদ
এত দিন পরে আমি নির্ববোধের মত দেখি
বাতাসেই ওড়ে সমস্ত সম্পর্কগুলো,
স্বার্থের অনুরোণন প্রকম্পিত হয়-ভালবাসার দান।
জানি একদিন খেলা শেষ হবে,
শেষ খেলার অনিবার্য লগ্নে- আশ্রয়ের মিছিল নিয়ে,
নীড়ে ফিরবে ক্লান্ত পাখি-ঝরা পালকের অতীত ঘ্রানে।
আমার জলপাই পাতার মত,
মৌনতার দরবার বসাবো-স্বার্থের সময়ে।।