রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা- যুগনীর হাটে
যুগনীর হাটে
– রুদ্র ম আল-আমিন
যুগনীর হাটে কত না জিলাপীর মেলা বসে
ভাদ্র মাসের কোন এক সোমবারে গিয়াছিলাম মামাদের সাথে হাটে।
কুঁজো একটা মহিলাকে দেখে হেসেছি খুব মনে মনে, মামায় বলিলঃ
“আছমানি কৈ গেছিল?”
তর ভাইগন্যা,কারপোলারে?ওর মায় আইছে?
দুপুর গড়িয়ে বিকেলবেলা বান্ছারাম সাধুবেসে
কহিল, চল জিলাপী খাবি আমার সাথে।
দেখিলাম,দেরপ্যাচের জিলাপীটারে সারেতিনপ্যাচে জরায়ে
দোকানী ঢালায় সাজায়ে রেখেছে বেশ করে।
পাঁচটাকায় পদ্মপাতায় বাধিয়া দিলো
একফোটা রস তাহাতে নাহি গড়িয়ে পরে।
ভ্রুক্ষেপ করিয়া মনে মনে ভাবিলাম
ইহাতো জিলাপীর মত নাহি দেখা যায় তবে।
চালের গুড়োয় তেলেগুড়ে রস মাখামাখি
হাটের অর্ধেক লোক তারিলাগি বসিতেছে এলোপাথারী।
যুগনীর হাটে রাসবিহারী তখুন পাটের তটে
খদ্দের লইয়া ব্যস্তসময়ে আড়চোখে কহিল,
“কবে যাইবি চলে? ”
তখন জিলাপীর প্যাচে মাথাখানি ভনভন করে ঘুরিতেছে সবে।
বটের ছায় কতলোক যে তামাক খায়
তাহার ইয়াত্তা নাই,
কেবা খোজরাখিবে কে কার ঘরে।
লাঙলের ফলা লাগাইতে ব্যস্তকামার
তাঁরিমাঝে দুএকবার মুখে পুড়িতেছে জিলাপীর স্বাধ বটে।
ফিরিবার কালে গোপালের মেয়ে রাজবীথি কান্নায় জরজর মলিন মুখে কহিল ,
আমায় কেন নিলি না তোর সাথে যুগনীর হাটে ?