যুদ্ধ নয়-কাস্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন
সিডনীর কথামালা-৩৯
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
E-mail:raneshmaitra@gmail.com
বিগত সপ্তাহে উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করেই দেখা গেল ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের এলাকায় উর নামক স্থানে ভারতের একটি সেনাঘাঁটিতে অতর্কিতে পাকিস্তানী সেনারা ঢুকে প্রায় ৩০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করে ঘাঁটিটিকে বিধ্বস্থ করে দিয়ে নিরাপদেই তাদের এলাকায় ফিরে যায়।
ভারত স্বভাবত:ই এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এবং ভারতীয়দের মধ্যে এই ঘটনা ব্যাপক প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করে। এর আগে দু’দেশের মধ্যে বিস্তর বাক-বিতস্তা চলছিল কাস্মীর নিয়ে। কাস্মীর দু’দেশের সরকারের কাছে শক্তি পরীক্ষার ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে হয়। দীর্ঘ ৭০ টি বছর ধরে এই ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। ছোট বড় মিলিয়ে যুদ্ধও হয়েছে বহুবার। এক কাস্মীরই সম্ভবত: ভারত ও পাকিস্তানের যত হাজার মানুষের জীবন সম্পদ নিয়েছে সমগ্র ভারত বর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামেও অত বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ হানি ঘটে নি। ঐ সংগ্রাম ছিল বিদেশী শাসক ইংরেজদের বিরুদ্ধে। কিছু সংখ্যক বীর স্বাধীনতা যোদ্ধার ফাঁসি হয়েছে, হাজার হাজার সংগ্রামী নেতা-কর্মীকে বছরের পর বছর কারা নির্য্যাতন সইতে হয়েছে এবং আরও বহুবিধ অত্যাচার নির্য্যাতন চালিয়েছে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদ। অথচ এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে জীবন দিতে হয় নি তখন। কিন্তু কাস্মীর ইস্যুতে দু’দেশের বহু সংখ্যক সৈন্য, অগনিত বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশুর জীবন অকালে ঝরে পড়েছে। কত জনের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়েছে, কত নারীকে বৈধব্য যন্ত্রনা সইতে হয়েছে, কত যুবতী ধর্ষিত হয়েছে-কতজনকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হতে হয়েছে তার কোন সীমানা-পরিসিমা নেই। যেমন পাকিস্তানে তেমনি ভরতে এই ৭০ বছরে বহুবার বহু সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এই সমস্যার সুরাহকা হয় নি।
অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে প্রম মহাযুদ্ধ চলেছিল ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ পর্য্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছর। অত:পর সমাধান হয়েছে নানা পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। আবার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলেছে ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্য্যন্ত। অর্থাৎ ছয় বছর ব্যাপী যার মধ্যে জাপান সহ পৃথিবীর বহু দেশে বিস্তর প্রাণহানি ঘটেছে, বহু সম্পদের হানি ঘটেছে ঠিক। কিন্তু ৭০ বছর ধরে যুদ্ধ বা যুদ্ধ পরিস্থিতির অস্ত্র বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর আবার তা লংঘন এবং অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর ও পরবর্তীতে তা লংঘন এই একই ইতিহাস। এক বিরতিহীন লড়াই
যেন।
কাস্মীর নিয়ে এমন একটি দুঃসহ পরিস্থিতি কেন চলছে এত দীর্ঘকাল যাবত? এই সমস্যা নিয়ে যে ভায়বহ হত্যালীলা প্রভৃতি চলছে তাতে ভারতের ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাবলীর কোন সমাধান ঘটছে? না, ঘটে নি। আদৌ ঘটে নি বরং এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় দেশেরই লাখো কোটি সাধারণ মানুষের জীবনে দীর্ঘ মেয়াদী সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তবুও এমন পরিস্থিতির সমাধানের কোন বাস্তব পন্থার উদ্ভাবন কেন হচ্ছে না? এ নিয়ে জাতিসংঘের বহু বক্তৃতা হয়েছে, বহু প্রস্তাব পেশ হয়েছে, অনেক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে কিন্তু ঐ পর্য্যন্তই।
কবে থেকে কাস্মীর সমস্যার সৃষ্টি হলো তা হলে? কে সৃষ্টি করলো-ভারত? নাকি পাকিস্তান? না, ভারতও না, পাকিস্তানও না। এ সংকট সৃষ্টি করে গেছে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদ – যারা এ দেশকে অর্থাৎ ভারতকে ২০০ বছর ধরে শাসন – শোষণ করেছে। তারা তো ভারত ছাড়তে চায় নি কিন্তু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মাধ্যমে বৃটেন দুর্বল হয়ে পড়ায় বৃটিশ বিরোধী সংগ্রাম ভারত বর্ষে তীব্র হওয়ায় এবং সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ভারতকে ভেঙ্গে
পাকিস্তান নামক একটি তথাকথিত মুসলিম রাষ্ট্রের উৎপত্তি ঘটালেও ইংরেজ-মুসলিমলীগ ও কংগ্রেসের সাম্প্রদায়িক অংশ কাস্মীর সহ ভারতে কয়েকটি রাজা-বাদশা শাসিত রাজ্যের সমস্যার সমাধান না করে ইংরেজরা চলে যায়।
স্থির হয় যে রাজা বা বাদশা ঐ রাজ্যগুলিকে শাসনের দায়িত্বে আছেন তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁর রাজ্যে ভারতের অংশীভূত হবে না কি পাকিস্তানের । বাকী রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ঐ ফর্মূলা মাফিক সমাধান ঘটলেও কাস্মীরের ক্ষেত্রে তা কার্য্যকর করা গেল না। কাস্মীরে ক্ষমতায় ছিলেন একজন রাজা। তিনি হিন্দু। আর ঐ রাজ্যের জনসংখ্যার বিপুল অংশ হলেন মুসলিম। রাজা ভারত ভূক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেও পাকিস্তান এবং কাস্মীরের মুসলিম বাসিন্দাদের একটি অংশ তা মেনে নিতে নারাজ হন। ফলে সংকটের সৃষ্টি হয়। এবং এ সংকটটা এমনই যে ভারত বলছে , “কাস্মীর ভরতের অবিচ্ছেদ্য অংশ” আর পাকিস্তান বলছে, “কাস্মীরকে তাদের চাই-ই”। পরিণতিতে কাস্মীরের একাংশ পাকিস্তানের দখলে এবং বৃহত্তর অংশ ভারতের দখলে। ভারত তার অংশের কাস্মীরদের জন্য অনেক বেশী সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। লক্ষ্য, বিদ্রোহ যেন না হয়। আর পাকিস্তান? তার অধিকৃত কাস্মীরে বিন্দুমাত্র ভিনড়বমত প্রকাশ করলেই প্রাণে বাঁচার সুযোগ নেই।
যুদ্ধে কোনদিই পাকিস্তান জেতে নি আমেরিকার ব্যাপক সমথর্ন তার প্রতি থাকা সত্বেও। আমেরিকা দীর্ঘকাল ধরে পাকিস্তানকে নানাভাবে মদদ ও অস্ত্র ভান্ডার দিতে দিতে ঐ দেশটাকে একটা জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ফলে পৃথিবীতে জনমত পাকিস্তানের অনুকূলে নেই । এমন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের পক্ষে জনমত থাকার কথাও নয়। তবে আমেরিকার ও মধ্য প্রাচ্যের শাসক গোষ্ঠী গোপনে হলেও পাকিস্তানকে যে সমথর্ন সহযোগিতা
দিচ্ছে না বা দেবে না জোর দিয়ে এমন কথা বলা মুসকিল।
অপরদিকে সমস্যাটি যতই বিলম্ব ঘটছে উভয় দেশের কাস্মীরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিণতিতে পাকিস্তান আজ প্রায় হিন্দু শূণ্য। ভারতেও সাম্প্রদায়িকতা কম নেই কিন্তু তার পরেও সেদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং অসাম্প্রদায়িক ঐহিহ্যের কারণে এবং পাশ্বর্ব র্তী মুসলিম দেশগুলির অর্থনৈতিক আস্থার ও নিরাপত্তার দুর্বলতা এবং অনিশ্চয়তার কারণে সে দেশের মুসলিমরা নিকটবর্তী কোন মুসলিম দেশে চলে যাওয়ার কথা ভাবেনও না। কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে দেশত্যাগ অব্যাহত।
যা হোক, ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান সংঘাত শেষ পর্য্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে? সাময়িক সমাধানের চিন্তা না করে ভারত ও পাকিস্তান এগুবে কি? এই সংকট জিইয়ে রাখার ফলে উভয় রাষ্ট্রকেই যে ক্ষতি গুলির সন্মুখ হতে হচ্ছে তা হলোঃ
এক. বিপুল সংখ্যক সেনা ও অন্যান্য বাহিনী খুলতে হচ্ছে দু’ দেশের সীমান্ত এবং উভয় দেশের এবং উভয় দেশের অধীনস্থ কাস্মীরে;
দুই. এই বাহিনীগুলির জন্য বিদেশী অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি আমদানী করতে হচ্ছে;
তিন. ভারতকে তো তার অধীনস্থ কাস্মীরে সেখানকার অধিবাসীদের বাড়তি সুযোগ সুবিধা বাবদ বিপুল পরিমাণ বাড়তি ব্যয়ও বহন করতে হচ্ছে;
চার. তদুপরি পাকিস্তান ও কাস্মীর থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের μমাগত দেশত্যাগ করে ভারত চলে আসার ফলেও স্থায়ীভাবে বাড়তি দায়িত্ব ও ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে;
পাঁচ. সমগ্র কাস্মীর বাসী আজ ৭০ টি বছর ধরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সীমান্তবর্তী সকল এলাকায় এই সমস্যা আরও প্রকট।
ছয়. কাস্মীরের তরুণ-তরুণীদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাবহত হচ্ছে ফলে তাদের ভাবিষ্যত জীবনে নেমে আসছে ভয়াবহ অন্ধকার;
সাত. কাস্মীর একটি অত্যাধিক সম্পদশালী রাজ্য। পর্য্যটকদের গভীর আকর্ষণের স্থান। কাস্মীরী সিল্ক বিশ্বের আকর্ষণ। সেই পর্য্যটকদের দেখা পাওয়া যায় না। হোটেল ব্যবসায় উঠে যাওয়ার মত। বস্তুত: কাস্মীর হয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশের সবার কাছেই এক ভীতির রাজ্য।
আট. ভারত এখন অর্থনৈতিক ভাবে অনেক উনড়বত রাষ্ট্র হলেও সে উনড়বয়নের ছোঁয়া থেকে এখনও বহু রাজ্য বঞ্চিত। আরও ব্যাপক উনড়বয়ন, ব্যাপক শিল্পায়ন, কৃষির অগ্রগতি সাধন, দারিদ্র-বেকারত্ব দূরীকররণ,সমাজের বিস্তর আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। তার জন্য এই ৭০ টি বছর ধরে এক কাস্মীর বাবদ যে বাড়তি সামরিক ব্যয় ভারতকে বহন করতে হচ্ছে এই সংকট দূরীভূত হলে বা তা যদি আদৌ সৃষ্টি না হতো তবে হয়তো কাস্মীর বাবদ
ব্যয়িত অর্থ সম্পদে ভারতের ব্যাপক উনড়বয়ন সাধিত হতো ভারত-কাস্মীর জীবন বহুলাংশে দারিদ্র-বেকারত্ব মুক্ত হতে পারতো।
নয়. পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট অনুনড়বত রাষ্ট্র। দারিদ্র অন্যতম কারণ যার জন্য দেশটি মারাত্মকভাবে জঙ্গী উৎপাদনের উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে। আমেরিকা যুগের পর যুগ ধরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সজ্জিত করেছে সৈন্য বাহিনীর উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়েছে কিন্তু দেশটির শিল্পায়ন, কৃষির অগ্রগতি সাধন বা দারিদ্র দূরীকরণে নয়। ফলে পাকিস্তানকে আজও আমেরিকার একটি উপনিবেশ বললে অত্যুক্তি হবে না যদিও এবার
ভারত-পাক নতুন সংকটে আমেরিকা তাদের পক্ষে থাকবে না বলে জানিয়েছে। যা হোক দরিদ্র রাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে তার বিশাল সীমানা জুড়ে এবং কাস্মীর সংকটের ফলে সাতটি দশক ধরে যে বিপুল সামরিক-বেসামরিক ব্যয়ভার টানতে পারে কিন্তু বাস্তবে এই বিপুল ব্যয়ের কোন সাধ্য শক্তি পাকিস্তানের নেই। এই দন্দ্বের ফলে ক্ষতি পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর না হোক, সেখানকার কোটি কোটি মানুষকে ভুগতে হচ্ছে ভারত দারিদ্র-বেকারত্ব নিরাপত্তাহীনতা প্রভৃতির ফলে। সুতরাং এই সংকটের আশু সমাধান পাকিস্তানের জনগণের স্বার্থেও অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন।
নীতিগতভাবে অবশ্য সকলেই সমস্যাটির সমাধানের কথাই বলছেন কিন্তু কাজে সেদিকে এগুচ্ছেন কমই। ফলে দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিরোধটি।
আসলে মূল কথাটি মেনে নিতেই হবে যে কাস্মীর কাস্মীরীদের। তা যদি হয় সামরিক পন্থায় তো সেদিকে এগুনো যাবে না-সমাধানের পথে আন্তরিকতা নিয়ে এগুতে হলে শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার পথ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
পাকিস্তানকে বিশেষ করে এটি বুঝতে হবে যে আমেরিকা এবং চীন তার পাশে নেই। সার্ক শীর্ষ সম্মেলন করতেও পারলো না তাদের সন্ত্রাসী নীতির ফলে। বস্তুত: শাসকগোষ্ঠর পরিচালিত নীতির কারণে পাকিস্তানে আজ এই উপমহাদেশে একঘরে। দাবী উঠতে শুরু করেছে সার্কের সদস্যবাদ থেকে পাকিস্তানকে খারিজ করে দেওয়া হোক।
সর্বোপরি পাকিস্তানের বিশাল প্রদেশ বানুচিস্তানও আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রকাশ্যেই অল্পকালে মধ্যেই বেলুচিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হবে হয়তো বা।
আবার পাকিস্তানের এই একঘরে হওয়ার পরিস্থিতিকে কাস্মীর সমাধানের ক্ষেত্রে ভারতের ইচ্ছামাফিক বা তার স্বার্থে কৌশল না নিয়ে কাস্মীর বাসীর স্বার্থে শান্তি পুনরুদ্ধারের দিকে অগ্রসর হলে, ভারত পাকিস্তান ও কাস্মীর সবাই জিততে পারে। কেউ কাউকে পরাজিত করার লক্ষে আর না এগিয়ে সবাই ডরহব-ডরহব চড়ংরঃরড়হ এ এলে সবারই মঙ্গল। শান্তিপূর্ণ পথেই তা সম্ভব।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪–এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।