যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়: উভয় পক্ষে যুদ্ধের ব্যাপক প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পরমাণু ইস্যুতে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি অবস্থান করছে। দু’পক্ষই ভিতরে ভিতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো ধরনের সামরিক হামলা ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া প্রস্তুত বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘে পিয়ংইয়ংয়ের দূত।
অন্যদিকে, পরমাণু পরীক্ষা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে বলে দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন।
সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কিম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ধরনের সামরিক হামলার সাহস দেখায় তবে উত্তর কোরিয়াও তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।’ যুদ্ধের উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কিম।
কিম জানান, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানো হলে তারাও নিজস্ব কৌশল এবং পদ্ধতিতে পারমাণবিক হামলা চালাবে।
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর শক্তির পরীক্ষা না নিতে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন। পেন্স তার সিউল সফর শেষে বর্তমানে টোকিওতে আছেন।
পেন্স বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তার দেশ কৌশলগত কারণে যে ধৈর্য এতোদিন দেখিয়ে এসেছে তা আর দেখানো সম্ভব হবে না।
দেশটি তাদের ষষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিম নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা হয়েছে। যে কোনো সময়ই তা সম্পন্ন হবে।
এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরীক্ষাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। দেশটির এ ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে।
সামরিক বিশ্লেষক এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার কোনো মিসাইল ভূপাতিত করার কাজটি খুব সহজ হবে না। কেননা এতে ঝুঁকির আশঙ্কা আরো বাড়বে। সেক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে।
এ ধরনের হামলা চালানো হলে তা কোরীয় উপদ্বীপে নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান পিয়ংইয়ংয়ের বিধ্বংসী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।